আজ সোমবার (০৩ মার্চ) নানা জল্পনা কল্পনা পেরিয়ে অবশেষে এক বছর পর নওগাঁর রানীনগরের কুজাইল হাটে পল্লী দোতলা মার্কেট ভবন নির্মাণের পূর্ব নির্ধারিত জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

আজ সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন, উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন, কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বাবু, স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

সময় অনেক দীর্ঘায়িত হলেও বিভিন্ন বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে অবশেষে রাণীনগর উপজেলা প্রশাসনের একান্ত প্রচেষ্টায় ভবন নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু করায় স্থানীয় জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

ঘোষণা অনুযায়ী কাজ শুরু হতে বিলম্বিত হওয়ায় অনেকেই ভেবে নিয়েছিল আর কখনোই হয়তোবা কুজাইল হাটের আধুনিক পল্লী ভবন নির্মাণ হবে না। অবশেষে সেই কাঙ্খিত ভবন নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় হাটের দোকানিরা সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। তবে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুতই যেন ভবন নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের হাতে দোকান ঘর হস্তান্তর করা হয় সেই বিষয়ে  সুদৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের পুরাতন এবং ঐতিহ্যবাহী কুজাইল হাটে ১২ হাজার ৬ শত বর্গফুট জায়গায় চারতলা ভিতের উপর দোতলা পল্লী মার্কেট ভবন নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। নিচ তলায় কাঁচা বাজার এবং উপর তলায় ২৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ হবে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা মাত্র। ইতিমধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স সাহারা কনস্ট্রাকশন ইএসবি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। ভবনের নির্মাণ কাজটি গত বছরের ১৯ মে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ৩০ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও  স্থানীয়দের বিভিন্ন জটিলতার কারণে উচ্ছেদ কার্যক্রমণ সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি।

জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান জানান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক মাস আগে হাটের সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদেরকে নোটিশ প্রদান করা হয়। সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যারা নিজ উদ্যোগে তাদের স্থাপনা সরে নেননি উচ্ছেদের পর সেই  স্থাপনার উপকরণগুলো নিলামে বিক্রয় করা হবে। এছাড়া উচ্ছেদের কাজে যারা বাধা প্রধান করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভবন নির্মাণের জায়গাটি ফাঁকা করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে দ্রুতই উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষে ভবন নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরও জানান সবার সার্বিক সহযোগিতায় আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার চেষ্টা করবো।

.