আলী আহসান রবি।। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি হতে বিরত থাকতে হবে। তিনি বলেন, শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নাক, কান, গলা ও হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটে বিশ্ব শ্রবণ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল "মানসিকতার পরিবর্তন: নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন"।
উপদেষ্টা বলেন, শব্দদূষণ শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের অন্যতম কারণ। শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার শব্দ ও উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, হর্ন বাজানো বন্ধ করা, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে বাহুল্য শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করা জরুরি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. জাহানারা আলাউদ্দিন, সদস্য সচিব কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতালের প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ খান ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. আলী ইমাম।
আলোচনা সভায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ বক্তাগণ শ্রবণ সমস্যা কমাতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।
আলোচনা সভার আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com