হাফিজুর রহমান শিমুলঃ দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা বেগম (৩৫) কে হত্যার পর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিলেন স্বামী শহীদুল ইসলাম কারিকর(৪৮)। বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য থানায় স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে জিডিও করেছিলেন তিনি। ঘাতক স্বামী ঘুরছিলেন অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে। কিন্তু তার আর শেষরক্ষা হলো না।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৯ টায় টায় সেপটিক ট্যাংক থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এরপর বিষয়টি আচ করতে পেরে এলাকাবাসী শহীদুল ইসলামকে আটকে রেখে থানা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শহীদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে রাখার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে। তার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় মারুফা বেগমের মরদেহ। ঘটনাটি কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে শহীদুল ইসলাম কারিকর জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ১৭ নভেম্বর রাতে শ্বাস রোধ করে মারুফাকে হত্যা করে সে। এরপর পুকুরের মধ্যদিয়ে মরদেহ টেনে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশি মাছুম বিল্লার টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিল। অপরদিকে স্বামী শহিদুল তার স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে জিডি করেছিল ১৯ নভেম্বর।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শহীদুল ইসলাম নিজের স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাকে আটকও করা হয়েছে। শহিদুল স্ত্রী মারুফা হত্যার বর্ণনা দিয়েছে। তার বলা মতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com