কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জের যমুনা পাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ গুজবের অবসান ঘটেছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় দুদলী নতুন হাটখোলা চত্ত্বরে কালিগঞ্জ শ্রমিক নেতা মনিরুল ইসলাম মনি‘র সভাপতিত্বে শত শত ভুমিহীনসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল মুখার্জী, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, মথুরেশপুর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, মৌতলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম বাটুল, ভুমিহীন ফতেমা খাতুন, মহব্বত আলী, সাবেক শিক্ষক রফিকুজ্জামান প্রমুখ। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণশ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ হাবিব ফেরদৌস শিমুলসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুধীবৃন্দ। এসময় বক্তাগন বলেন, যমুনা পাড়ে বসবাসরত ভুমিহীনদের উচ্ছেদের বিষয়টি ছিল নিছক গুজব। মূলত সাতক্ষীরা জেলা নদীরক্ষা, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় শ্যামনগর যাওয়ার পথে পিরোজপুরে যমুনা পাড়ে পরিদর্শন আসেন এবং যমুনা পুনঃ খননের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ভুমিহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে পুনঃ খনন করার দাবীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার দৃঢ প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন। অথচ এই ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কতিপয় দুঃস্কৃতকারী একটি বিরোধকে আড়াল করতে সরলমনা ভুমিহীনদের ভূল বুঝিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার, মিছিল বা সমাবেশ করাতে বাধ্য করে। ইতিমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ভুমিহীনদের পুনর্বাসনের অংশ হিসাবে ১০ টি পরিবারে ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৩ টি ঘর নির্মান করা সম্পন্ন হয়েছে। এসময় সমস্ত ভুমিহীনরা স্বীকার করেন যে উপজেলা চেয়ারম্যান ভুমিহীনদের পুনর্বাসনেরর জন্য আবেদন করতে আইডি কার্ড এবং ইউনিয় পরিষদ থেকে গৃহায়ণ ফরম ক ও খ ফরম সংগ্রহ করতে বলেন। বিষয়টি মৌতলা, কুশুলিয়া ও মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যানগন সত্যতা শিকার করেন। এসময় নিবার্হী কর্মকতার্ বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গত অক্টোবার মাসে ভুমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য উপজেলা পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাশ হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আব্দুস সামাদ, বিধবা শাহিদা খাতুন, জহুরুল আলম, আয়ুব আলী, আব্দুল হামিদ, মৃত আবু তালেবের স্ত্রী, মাছুমসহ বেশ কিছু ভূমিহীনের নামে ঘর নির্মানের তালিকা করা হয়েছে। এছাড়াও পরস্পর আরও ভূমিহীনদের নামের তালিকা করা হবে। কাউকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তাদের কল্যানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।