মোঃ মনির হোসেন শাহিন :ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজার ও নদীর তীরবর্তী এলাকা বিশেষ করে লঞ্চ টার্মিনালের আশেপাশে তাকালে মনে হয় পুরো এলাকাটা একটি অঘোষিত ডাষ্টবিন।
সলিমগঞ্জ বাজার প্রতি অর্থ বছরে প্রকাশ্য ইজারা দিয়ে সরকার অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আদায় করলেও উক্ত হাট-বাজার আশানুরূপ উন্নয়ন কাজ করা হয়নি। এ কারণে সলিমগঞ্জ বাজারটির এই বেহাল অবস্থা বলে মনে করেন সাধারণ ব্যাবসায়ী ক্রেতা সাধারণগন।
বাজারটিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পঁচা সবজি ও বাজারে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে নদীর পাড়ে। স্তূপে প্লাস্টিকের খালি বোতল থেকে শুরু করে বাজারে পলিথিন কসাইদের,গরুর, মুরগির নাড়িভুড়ি সহ পরিত্যক্ত বর্জ সহ সামগ্রী সহ আবর্জনা পরে আছে।
সলিমগন্জ ঘাটেন গিয়ে যায় সেখানে আবর্জনার দুর্গন্ধের মধ্যেই গোসল করছেন বাজারে ও স্থানীয় আশাপাশের লোকজন।
সলিমগঞ্জ লঞ্চঘাট ও নৌকাঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। বাজারে ৩টি ঘাট ঘুরে একই রকম চিত্র পাওয়া গেছে ঘাটে ঘাটে ময়লা-আবর্জনা সয়লাব হয়ে রয়েছে।
মানবসৃষ্ট এসব ময়লা–আবর্জনা গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে, দূষিত হচ্ছে নদী পানি এতে লঞ্চ ঘাট দিয়ে চলাচল করা মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ,সলিমগঞ্জ বাজারে লঞ্চঘাট এলাকার ঘাটগুলোতে ব্যবসায়ীরা গরুর, মুরগি নাড়িভুড়ি,পচা ফল,সবজি, মাছ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উচ্ছিষ্ট এবং পরিত্যক্ত ময়লা–আবর্জনা নদী তীরে ফেলে দূষণ করছেন। এসব এলাকায় দিনরাত সমানতালে প্রকাশ্যেই ময়লা–আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সলিমগঞ্জ বাজার কমিটির পক্ষে থেকে নজরদারি এবং ডাস্টবিন না থাকায় এমন দূষণ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
সলিমগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে কোনো ডাস্টবিন নেই। সে জন্য ব্যবসায়ীরা ঘাটেই ময়লা ফেলছেন। বাজার কমিটির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন সরবরাহ কিংবা স্থান নির্ধারণ করে দিলে ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র কেউ ময়লা ফেলতেন না।
সলিমগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শিশু মিয়া বলেন বাজারে লঞ্চঘাটে এসব ময়লা–আবর্জনার স্তূপের পেছনে সবজি, ফল হোটেল ব্যবসায়ীদের দায় রয়েছে। তাঁরা বাজারের উচ্ছিষ্ট পচা ফল সবজিগুলো ঘাটের পাশেই ফেলে রাখেন। এগুলো ঘাটের পাশেই পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
সলিমগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম নাছির বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই দুই দফা সলিমগঞ্জ লঞ্চঘাটে নৌকায় করে যাতায়াত করি। ময়লা–আবর্জনার কারণে এ পথ দিয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সলিমগঞ্জ লঞ্চ ঘাট এলাকাটি ব্যবসায়ীদের প্রসিদ্ধ এলাকা। এ ঘাটের এমন অবস্থা দেখে মনে হয় দেখার মতো কেউ নেই। এটি যেমন সলিমগঞ্জ বাজার কমিটির কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন, তেমনি ব্যবসায়ীদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বলে মনে করেন অনেকে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com