পলাশ চন্দ্র বিশ্বাস : হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এ-উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জের মন্দির গুলোতে এখন শুরু হয়েছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পূজার পরিবেশ তৈরি করেছেন প্রতিমা শিল্পি ও আয়োজকরা। ইতোমধ্যে খড় ও মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে বং এখন চলছে রংতুলি শেষ আঁচড়ে প্রতিমাগুলোকে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার কাজ। দুর্গা পূজার আনন্দে মেতে উঠতে প্রস্তুত গোপালগঞ্জের প্রতিটি মন্দির। এবছর গোপালগঞ্জ জেলার১২৮৫ টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মন্দির সদর উপজেলায় -৪৩৫ টি, কোটালীপাড়ায় -৩২১ টি, মুকসুদপুরে- ২৯১ টি,কাশিয়ানীতে ২২৪ টি ও টুঙ্গিপাড়ায় -৯০ টি মন্দিরে পূজা হবে। পূজার আয়োজন যাহাতে নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্নভাবে হয় সেজন্য প্রশসন ও সজাগ রয়েছে। মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে এবং ১হাজার ৭০ টি মন্দিরে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহলার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের শুরু হবে আার ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে পূজা শুরু হবে। ০২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দুর্গা পূজা শেষ হবে। প্রতিমা শিল্পী উত্তম পাল বলেন, এবছর আমি পাঁচ টি প্রতিমা তৈরি করেছি, পারিশ্রমিক ও ভালো পেয়েছি। গোপালগঞ্জের পূজা উৎযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন , গোপালগঞ্জ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা এবং এখানে সব ধর্মের মানুষ এক সংগে বসবাস করে ও পূজায় অংশগ্রহন করে। আমাদের উদ্দেশ্য সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করা যাহাতে শান্তি পূর্ণ ভাবে পূজা উৎযাপন করা যায়। গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ী মন্দিরের সভাপতি রমেন সরকার জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে । গত বছরের তুলনায় এবছর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অধিকতর তৎপর রয়েছে । গোপালগঞ্জ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান (যুগ্ম সচিব ও বিজ্ঞা জেলা ম্যাজিস্টেট) বলেন , পূজার আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, আইনশৃংখলা বাহিনী সদা প্রস্তত রয়েছে, প্রতিটি পূজা মন্ডবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সমন্বয় যৌথ বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। আশা করি সকলের সার্বিক সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ বাসী শান্তিপূর্ন ভাবে দুর্গা পূজা উৎযাপন করতে সক্ষম হবে।