/ জাতীয়
অনির্দিষ্ট
আপডেটঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-৩০
ছবি : সংগৃহীত
ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল
ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ১৯৮৯ সালে তৎকালীন ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ জুলাই ১৯৮৯ তারিখে পানছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে অধিনায়কের নিরাপত্তা এসকর্ট এর গাড়ির চালকের দায়িত্বে ছিলেন। গাড়িটি দুপুর ১৩২৮ ঘটিকায় মনিগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে শান্তিবাহিনী সন্ত্রাসীদের এ্যাম্বুশে পতিত হয়।
শান্তিবাহিনীর এলএমজি’র প্রথম বার্স্টে গাড়ির দ্বিতীয় আসনে থাকা হাবিলদার মফিজ উদ্দিন সঙ্গে সঙ্গে শাহাদত বরণ করেন। ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশার নিজেও বুকে, হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। মারাত্মক আহত অবস্থায়ও তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে ০৮ জন সৈনিক, অস্ত্র ও গাড়ি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান।
তিনি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে গাড়ি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য গতিমাত্রা বাড়িয়ে দেন এবং গাড়িটি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হন। তবে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি দুর্বল হয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদত বরণ করেন।
ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশারের অসীম সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও আত্মত্যাগের ফলে ০৮ জন সৈনিকের জীবন, মূল্যবান অস্ত্র ও সরকারি সম্পদ রক্ষা পায়। তাঁর এই অনন্য সাহসিকতার জন্য তাঁকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক 'বীর প্রতীক' খেতাবে ভূষিত করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ | ভারপ্রাপ্ত প্রধান (অনলাইন) : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ
অফিস : ৪/এ, আটি মডেল সোসাইটি, আটি, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১২
ইমেইল:
mkprotidin@gmail.com | ফোন : (+880) 1643-565087 , (+880) 1922-619387