সমরেশ রায়, কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) : ঠিক দুপুর বারোটায়, এম জি এন আর ই জি এ সংঘর্ষ মোর্চার ডাকে, সারা ভারত কৃষক ও গ্ৰমীন ক্ষেত মজুর শিয়ালদা স্টেশনে জমায়েত হয়ে, মিছিল করে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ পৌঁছান, এবং কিছুক্ষণ ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন, পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মিছিল রানী রাসমণি রোডে শেষ করেন এবং সভা করেন ও ডেপুটেশন দিতে যান রাজ ভবনে, এর পর প্রতিবাদী গন সংগীতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু করেন। প্রায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কয়েকশো কৃষক ও ক্ষেতমজুর মিছিলে পা মেলান।
মিছিল ও সভায় উপস্থিত ছিলেন, মিহির পাল, নিরাপদ সর্দার, তপন গাঙ্গুলী, রাজীব ব্যানার্জি, পরেশ পাল ,অনুরাধা সহ অন্যান্যরা।
সভায় একের পর এক বক্তারা ১০০ দিনের কাজের দাবী নিয়ে,কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন, অবিলম্বে কাজ দিতে হবে, গ্ৰামীন গরীব শ্রমজীবীদের স্বার্থ বিরোধী নয়া আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে , আদালতের আদেশ মেনে এক দিনের কাজ চালু করতে হবে। কোনো রকম প্রতারণা মানছি না। গান্ধীর প্রকল্প বন্ধ করা চলবে না,
আমাদের দাবী সমূহ -
কেন্দ্র রাজ্য বুঝি না, কাজ চাই কাজ দাও।
নতুন বিল এনে শ্রমিকের কাজের অধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না।
গ্ৰামে থাকবো গ্ৰামে খাটবো ভিটে মাটি ছাড়বো না
শ্রমিক বিরোধী বিল ভিবি গ্ৰামজী অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
হাতে হাতে কাজ চাই, পাতে পাতে ভাত চায়,সারা বছর কাজের গ্যারান্টি চায়।
১২৫ দিনের ললিপপ মানছি না ,মানবো না, সারা বছর কাজের গ্যারান্টি দিতে হবে ।
এলাকা বাছাই করে কাজ দেওয়ার সড়যন্ত্র চলবে না।
মোদী সরকার ১২৫ দিনের ভাঁওতাবাজি বন্ধ করো।
মহাত্মশ্রী , কর্মশ্রীর প্রহসন বন্ধ করো। গ্ৰামের গরীবদের জন্য রাজ্য সরকারকে কাজের সুব্যবস্থা করতে হবে।
কোর্টের রায় মেনে পশ্চিমবঙ্গের গ্ৰামে গ্ৰামে অবিলম্বে কাজ চালু করতে হবে।