Magazines cover a wide range of subjects, including fashion, lifestyle, health, politics, business, entertainment, sports, and science.

  • হোম
  • ব্লগের বিবরণ
শিক্ষা

ইবিতে শিক্ষককে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করলেন শিক্ষার্থীরা

১২ মার্চ, ২০২৫ পড়া হয়েছে: ৩৩০
ইবিতে শিক্ষককে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করলেন শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতা করার অভিযোগে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরবেলা এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দুপুর ১২টায় প্রশাসন ভবনে একটি মিটিংয়ে অংশ নেন বিভাগীয় সভাপতিরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা মিটিং রুমের বাইরে অবস্থান নিয়ে—
‘শহীদুলের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘দালালদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা মিটিং রুম থেকে বের হয়ে যান।

একপর্যায়ে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শিক্ষক শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে ভ্যানে উঠে বিভাগের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। এ সময় পিছন থেকে শিক্ষার্থীরা শহীদুল ইসলামকে ধাওয়া দেন। পরে তিনি বিভাগের সভাপতির কক্ষে অবস্থান নেন। বিভাগীয় সভাপতির কক্ষের বাহিরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে করে নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “এতো গুলো ছেলেমেয়েকে হত্যা করে লজ্জা হয় নাই? নির্লজ্জ আপনারা? আপনাদের গায়ে মানুষের রক্ত নাই? পশুর রক্ত আছে। হায়েনা, জানোয়ারদের রক্ত আছে। আপনি নির্লজ্জ,নাহলে এই চেয়ারে বসতেন না। আপনাকে যেন ক্যাম্পাসে না দেখি। আপনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য না। এখনো নাকি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ‘জয় বাংলা’ বলবে। দালাল কোথাকার।”

“জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদুল ইসলাম প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন। ওই সময় আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে শাপলা ফোরামের ব্যানারে করা মিছিলে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এখনও আওয়ামীলীগের পক্ষে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালান“— বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে কল করে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “শিক্ষক শহীদুল ইসলাম আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন, তাই আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। তাকে নিরাপত্তা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তিনি এখন বিশ্রামের সময় চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলোচনা করা হবে।”