প্রতিটি স্বামীর কাছে তাদের বউ এর একটা আলাদা অবস্হান আছে। খানিকটা ভালোবাসা, খানিকটা সমীহ, খানিকটা বিশ্বাস ও বেশ খানিকটা নৈমিত্তিক অভ্যাসের! বউ যতটা না ভালোবাসার তার চেয়ে বেশি নির্ভরতার! যে মানুষটির সামনে ভোঁস ভোঁস করে নাক ডাকিয়ে ঘুমানো যায়,হাঁটু পর্যন্ত লুঙ্গি তুলে বসে খস খস করে গা চুলকানো যায়, দাঁতে আটকে রাখা মাংস দাঁত খোঁচানি দিয়ে নির্বিকারভাবে বের করা যায় - মোট কথা তার সামনে সারাক্ষণ সচেতন হয়ে থাকার দরকার হয়না - সে অর্ধাঙ্গিনী!
স্ত্রী যতই সুন্দরী হোক তার প্রতি তেমন মুগ্ধতা কাজ করেনা - সে আটপৌরে সংগিনী! তাদের আলিংগন আলোড়ন তোলেনা- আশ্রয় আর আশ্বাস দেয় ! কাজেই,অনেক পুরুষই জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে এসে একঘেয়ে জীবনে বৈচিত্র্য আনার লোভে অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়! তারা হয়তো ঐ নারীকে ভালোবাসে না - তারা নতুন কোন রমনীর চোখে নিজে রমনীমোহন হয়ে উঠতে ভালোবাসে!
যতটা না তারা শারিরীক আকর্ষণ বোধ করে - তার চেয়ে বেশি নিজের পৌরুষকে নতুন কোন নারীর মুগ্ধ চোখে, আবিষ্ট শরীরে, রোমান্টিক কল্পনায় আবিষ্কার করতে আগ্রহী হয় ! তবে, সবই ভীষণ গোপনে !
যখনই তাদের এই প্রণয় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রকাশ্যে আসে তখনই তাদের রোমান্টিক এডভেনচারের সাধ মিটে যায় ! বাস্তবতার চাবুকে ফ্যানটাসি ঘুচে যায় ! পারিবারিক , সামাজিক অবস্থান বজায় রাখতে মরিয়া স্বামীদের তখন , ছেড়ে দে বইন- কেঁদে বাঁচি অবস্থা!
কাজেই, বইনরা, বিবাহিত পুরুষের সাথে প্রেম করার আগে দশবার ভাববেন !
জেনেশুনে বিষবৃক্ষ করিও না রোপন
পরকীয়া ততক্ষণই আবেগের যতক্ষণ তা গোপন!