এল,এস লুকাস মিয়া :
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামে পরকীয়া প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন রানী বেগম (৩৫) নামে দুই সন্তানের জননী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাগজিপাড়ার আনারুল হোসেনের মেয়ে রানী বেগমের সঙ্গে ২০০১ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘরিয়া এলাকার মোস্তাক আহমেদ ওরফে সাইদুলের। সুখে-শান্তিতে চলছিল দাম্পত্য জীবন। তাঁদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান—ছেলে আব্দুর রহমান (১৮) ও মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা (৯)।
চাকরির কারণে মোস্তাক আহমেদ ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। এ সুযোগে স্থানীয় এক ব্যক্তি আলমগীর হোসেন, টিসিবি কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রানী বেগমের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে আলমগীরের সঙ্গে রানীর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং একসময় অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১১ জুন ২০২৫ রাতে আনুমানিক আটটার দিকে আলমগীর জোরপূর্বক রানী বেগমকে স্বামীর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রানী বেগমকে তার বাবার বাড়ি কাগজিপাড়ায় রেখে চলে যান আলমগীর।
এরপর ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে লালমনিরহাট নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে রানী বেগম আলমগীরকে তালাক প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৬ অক্টোবর রাতে আলমগীর আবারও জোরপূর্বক রানী বেগমকে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার পর রানীর বাবা আনারুল হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,
“ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় এলাকাজুড়ে এ ঘটনাটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।