অর্থনীতি

কৃষকের মুখে হাসি, কটিয়াদীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

কৃষকের মুখে হাসি, কটিয়াদীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

মোঃ আল-আমীন : ‘কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, কৃষকের মুখে হাসি থাকলেই বাঁচবে বাংলাদেশ’—এই শ্লোগান যেন সত্য হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। গচিহাটা বীজের ধান চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে অগ্রহায়ন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম থাকায় কৃষকের মুখে এখন আনন্দের হাসি।
দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহে ভরে গেছে কটিয়াদীর মাঠ-ঘাট। যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই সবুজ ধানের শীষ দোল খাচ্ছে হালকা বাতাসে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে ধানের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এ বছর।
গচিহাটা এলাকার কৃষক মো. গনি ‘গচিহাটা  এ্যাকোয়াকালচার ফার্মসের ব্রি ধান- ১০৩ বীজ ব্যবহার করেছি। এবার ধানের ফলন এত ভালো হয়েছে যে, খরচ বাদ দিয়েও ভালো লাভ থাকবে।’
একই এলাকার আরেক কৃষক মো. আলম মিয়া জানান, ‘ব্রি ধান-১০৩ অগ্রহায়ন চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, বাজারদর ঠিক থাকলে ভালো লাভের আশা করছি।’
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার কটিয়াদীতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, উন্নত জাতের বীজ এবং সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলন আশানুরূপ হয়েছে। গত বোরো ধান চাষ ভালো হয়েছে 
আগামী বোরো মৌসুমে  ধানের ব্রি-৯২ ও ১০৮ জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন। আবহাওয়া ও বাজারদর অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবার প্রত্যাশা অনুযায়ী লাভবান হবেন বলেও তারা জানান।