আনোয়ার হোছাইন,
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে স্বামীর সাথে অভিমান করে কীটনাশক পানে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মৃত গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার (১৯) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালার মেহেরপুরের প্রধানঝিরি এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে ইয়াসমিন খাবারের পর ধানক্ষেতের পাশে আগাছা নিধনের জন্য আনা একটি বোতল থেকে তরল পদার্থ পান করেন। স্বামীর দাবি, ইয়াসমিন ‘স্পিড’ ভেবে পান করলেও সেটি ছিল এসিড জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ। পান করার পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় তিনি মারা যান।
তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ইয়াসমিনকে শারীরিক নির্যাতনের পর জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, স্বামী নিয়মিতভাবে তাকে নির্যাতন করতেন।
স্বামী সৈয়দ হোসেন বলেন, “আমার স্ত্রীর সাথে কোনো ঝগড়া হয়নি। ভুলবশত বিষাক্ত তরল পান করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাশরুরুল হক বলেন, “লোকমুখে শুনেছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পর অভিমান করে বিষপান করেন ইয়াসমিন। মৃতের পিতা গোলাম হোসেনের আবেদনের ভিত্তিতে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।