আনোয়ার হোছাইন, নাইক্ষ্যংছড়ি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করতে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা ও মানবিক সহায়তা প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) সদরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, সেলাই মেশিন ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনসাধারণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হেডম্যান, শিক্ষক ও বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এ ধরনের মানবিক ও সমাজমুখী উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। এসব কর্মসূচি জনগণের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশ্বাস ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করবে।
এসময় (১১ বিজিবি) নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, সীমান্তরক্ষা, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা বিজিবির দায়িত্বের একটি অংশ। পাহাড়ি-বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখতে আমরা নিয়মিতভাবে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সহযোগিতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সীমান্তাঞ্চলকে আরও শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। স্থানীয় জনগণ শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
বিজিবি সুত্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি ‘অপারেশন উত্তরণ’-এর আওতায় পাহাড়ি এলাকায় উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও সামাজিক সম্প্রীতি নিশ্চিত করার জন্য আরও জনবান্ধব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আজকের সহায়তা কর্মসূচি তারই ধারাবাহিক উদ্যোগ।