শিক্ষা

সুবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিনকে ইউজিসির সদস্য হওয়ায় সংবর্ধনা

সুবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিনকে ইউজিসির সদস্য হওয়ায় সংবর্ধনা

মান্নার মিয়া : সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য (খণ্ডকালীন) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস আব্দুল মজিদ কলেজ ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. সারফুদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা ও আব্দুল মজিদ কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রউফ পল্লব।

সম্মানিত অতিথিরা বলেন, সুবিপ্রবি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা, প্রযুক্তি ও আধুনিক শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন। বক্তারা আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটি আলোকিত সমাজ গড়ার কারখানা; সুবিপ্রবি যেন সেই আলো সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারে।”

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুভেচ্ছা ও আশাব্যঞ্জক বক্তব্য উপস্থাপন করে, যা অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

সংবর্ধিত অতিথি ও সুবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন,

“এই অর্জন সুবিপ্রবি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত প্রাপ্তি। ইউজিসির সদস্যপদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন সম্ভাবনা ও দায়িত্বের দ্বার উন্মোচন করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “গবেষণা, উদ্ভাবন এবং মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে সুবিপ্রবিকে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে আমি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”
তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চান যেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করতে পারেন।

অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিনের এই অর্জন সুবিপ্রবির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে—এমনটাই মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সমাজের প্রতিনিধিরা।