জাহিদুল ইসলাম, সিলেট : সিলেটের জৈন্তাপুরের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সহকারী সালেহা বেগমের চার সন্তানের অনন্য সাফল্যে গর্বিত জৈন্তাপুর বাসী। এবারে তাদের কনিষ্ঠ কন্যা পারিছা খন্দকার ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে ।
জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পারিছা খন্দকার। এরপর ১৪ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, সে ১৭৯ দশমিক ৫ নম্বর পেয়ে সিলেট মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
এর আগে পারিছা জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এবং চলিত ২০২৫ সালে একইভাবে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের মাস্তিংহাটি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সহকারী সালেহা বেগমের দম্পত্তির চার সন্তানের মধ্যে পারিছা খন্দকার সবার ছোট।
পারিছা খন্দকার বলেন, “মা-বাবা ও শিক্ষকদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েছি। আমি ভবিষ্যতে একজন মানবিক ডাক্তার হতে চাই।”
পারিছার পিতা হাবিবুর রহমান খন্দকার ও মাতা সালেহা বেগম বলেন, “আমাদের মেয়ের প্রতি আমাদের বিশ্বাস ছিল যে সে ভালো রেজাল্ট করবে। আমাদের মেয়ে আমাদের আশা পূরণ করেছে। তার ফলাফলে আমরা অত্যন্ত খুশি। পড়াশুনায় আমাদের মেয়ের আগ্রহ ছিলো বেশ। মেয়ের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি।”
পরিবার সূত্রে জানাজায়, তাদের প্রথম কন্যা মাস্টার্স সম্পন্ন করে জৈন্তাপুরের বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। দ্বিতীয় কন্যা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তৃতীয় কন্যা সদ্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরিবারের সাফল্যের ধারাকে আরও উজ্জ্বল করেছেন। পরিবারের একমাত্র পুত্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
শিক্ষা, অধ্যবসায় ও নৈতিকতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই পরিবার জৈন্তাপুরবাসীর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত—যেখানে মা–বাবার আদর্শ ও ত্যাগের ফলেই চার সন্তানের এমন ধারাবাহিক সাফল্য সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য: গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৫) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।রেজাল্ট ১৪ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।