শফিকুল ইসলাম শফিক : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড, সাউথপাড়া দক্ষিণ। গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া মোছাঃ তানজিলা আক্তার তানিয়া এবার এসএসসি পরীক্ষায় উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করেছেন।
মহিষখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন করেছেন এবং উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল করার কৃতিত্বও তার।
দারিদ্র্য ও নানান চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তানজিলা পড়াশোনায় তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছেন। তার বাবা মোঃ আব্দুল নূর দিনমজুর হলেও মেয়ের শিক্ষায় কখনো বাধা দেননি। মা মোছাঃ রুজিনা আক্তারও প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েকে প্রেরণা যোগাচ্ছেন।
মহিষখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক ফকির বলেন, “তানজিলা আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব। তার কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন মেধাবী শিক্ষার্থী দেখে আমি খুব খুশি। আমি আশা করি, তার সাফল্য অন্য শিক্ষার্থীদেরও অনুপ্রাণিত করবে।”
সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল করিম মৃর্ধা বলেন, “তানজিলা ছোটবেলা থেকেই অধ্যবসায়ী। দারিদ্র্য তাকে থামাতে পারেনি। তার এই সাফল্য আমাদের মহিষখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, সে একদিন দেশের সেবা করবে।”
প্রতিবেশী মোঃ হাসমত আলী মাস্টার বলেন, “তানজিলার অধ্যবসায় ও মেধা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন পরিশ্রমী শিক্ষার্থী দেখে আমি খুব খুশি। আশা করি, তার সাফল্য অন্য শিক্ষার্থীদেরও অনুপ্রাণিত করবে।”
তানজিলার স্বপ্ন—একদিন ডাক্তার হয়ে দেশের সেবা করা। যদিও আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার বাবা-মা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, তাদের মেয়ে একদিন পরিবারের এবং গ্রামের মানুষের মুখ উজ্জ্বল করবেন।
গ্রামের মানুষও তানজিলার এই সাফল্যে আনন্দিত। তারা আশা করছেন—অঞ্চলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও তার মতো দারিদ্র্যকে জয় করে জীবনে এগিয়ে যাবে।