সমরেশ রায়, কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) : ২৪ শে ডিসেম্বর বুধবার, ঠিক সকাল ১১ টায়, লেডি ডাফরিন হাসপাতালের সামনে থেকে, রাজ্য আই এন টি ইউ সি সেবাদলের সভাপতি প্রমোদ পান্ডের উদ্যোগে, বড়দিন উপলক্ষে, মুক্তধারা প্রকল্পের অধীনে সান্তা ক্লজকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, ছোট ছোট শিশুদের হাতে বর্ণপরিচয় বই ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
সকাল ১১ টা থেকে, বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের রাস্তা ধরে, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ব্লক কংগ্রেসের বিভিন্ন পাড়ার গলিতে গলিতে, শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়তে, শিক্ষাকে বাঁচিয়ে রাখতে, স্বয়ং সান্তা ক্লজ স্কুল পড়ুয়া ছোট ছোট শিশুদের হাতে একটি করে বর্ণপরিচয় ও বড়দিন উপলক্ষে নানান উপহার সামগ্রী তুলে দিলেন, ছোট ছোট শিশুরা, এতটাই আনন্দিত তারা সান্তাক্লজকে কাছে পেয়ে হ্যান্ডসেক করতে এগিয়ে এলেন। শুধু ছোট ছোট শিশুরাই নয় তাদের মায়েরাও সান্তা ক্লজ কে এলাকায় দেখে খুশি, তারাও ছোট ছোট বাচ্চাকে কোলে নিয়ে শান্তার কাছে পৌঁছান। পাড়ার গলিতে গলিতে শান্তাকে দেখতে ভীড় জমে ওঠে চোখে পড়ার মতো, কিছুক্ষণ এলাকার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাজ্য আই এন টি ইউ সি সেবাদলের সভাপতি প্রমোদ পান্ডে বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানটি বড়দিন উপলক্ষে মুক্তধারা প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে।, কারণ যেভাবে শিক্ষাকে ধ্বংস করা হচ্ছে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হচ্ছে, শিক্ষাদীক্ষা কে লাটে তুলে দেওয়া হচ্ছে, আস্তে আস্তে প্রায় স্কুল বন্ধ হতে বসেছে, আগামী দিনে এই প্রজন্মের ছোট ছোট শিশুরা আদ্যৌও পড়াশোনা করে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে কিনা, সেটা নিয়েও নিশ্চয়তা আছে, কারণ স্কুলে নাই শিক্ষক, সমস্ত কিছুতেই দুর্নীতি ভরে গিয়েছে, শিক্ষকেরা মাইনে না পেয়ে কেউ আন্দোলন করছে ,কেউ শিক্ষকতা করার জন্য আন্দোলন করছে, আজ যাহারা পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করার জন্য পরীক্ষা দিয়েছে তারাও রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার মহাত্মা গান্ধীর নাম বাদ দিয়ে রামজী রামজী করছেন, একদিকে রাজ্য সরকার ,অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দুই সরকার নিজ নিজ নীতি নিয়ে গরিব অসহায় মানুষের পেটে লাথি মারছে, আদ্যৌ শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে কেউ জানে না।
তাই শিক্ষা কে বাঁচানোর জন্য, ছোট ছোট শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য, পাড়ার প্রতিটি গলিতে বড়দিন উপলক্ষে সান্তা ক্লজকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি করে বর্ণপরিচয় ছোট ছোট শিশুদের হাতে তুলে দিলাম, যাহাতে বাড়ির ছোট ছোট শিশুর মা বাবারা, এই সকল শিশুদের বর্ণপরিচয় বইটি পড়ান এবং তাদের নিজেদের ছেলে মেয়েদের আলোর পথ দেখান, তাহলে হয়তো একদিন এই শিশুরাই শিক্ষা দীক্ষায় বড় হয়ে উঠবে। একটা শিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠবে, শিশুরা বড় হয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।