জাতীয়

মোংলা বন্দরে বেড়েছে বিদেশি জাহাজ রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড

মোংলা বন্দরে বেড়েছে বিদেশি জাহাজ রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড
জে,এম,নুরনবী, মোংলা।। মোংলা বন্দরে বেড়েছে বিদেশি জাহাজ রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলা দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলায় চলতি অর্থবছরে কন্টেইনার এবং মেশিনারিজ জাহাজের আগমন বেড়েছে। সেই সাথে গাড়ি আমদানিতে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে এ বন্দর। মোট আমদানির ৬০ ভাগ রিকন্ডিশন গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মেশিনারিজ পণ্য এ বন্দরে আমদানি হওয়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা সত্বেও মোংলা বন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে কোন বিরুপ প্রভাব পড়েনি। বরং বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সম্প্রতি চীন সরকারের সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দরের পরিধি আরো বেড়ে যাবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৩ মে পর্যন্ত বন্দরে মোট ৭২৫টি বিদেশি জাহাজ ভিড়েছে। ২২টি জাহাজে মোট ১০ হাজার ৩৭৪টি রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। ৯৩ লাখ ২৭ হাজার ২১৪ মেট্রিকটন কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। সবমিলিয়ে সবগুলো সূচকেই উর্ধ্বমুখী অবস্থানে রয়েছে মোংলা বন্দর। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বন্দরের ৫নম্বর জেটিতে অবস্থান করছে ইন্দোনেশিয়ান পতাকাবাহী ১১৫.৪৯ মিটার লম্বা, ৭.২৫ মিটার ড্রাফটের এম.ভি. সেলাটন ডামাই নামক কন্টেইনারবাহী জাহাজ। জাহাজটিতে ৩২৪ টিইইউজ কন্টেইনার রয়েছে। কন্টেইনারবাহী জাহাজটি থেকে কন্টেইনার খালাসের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও আরও একটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে অবস্থান করছে। এমভি ফেসকো ওলগা নামের রাশিয়ান পতাকাবাহী একটি জাহাজ যেটি ১৩৮.১ মিটার লম্বা, ৭.৪ মিটার ড্রাফটের। এ জাহাজটিতে ২হাজার ১৯৫ মে.টন মেশিনারিজ মালামাল রয়েছে। জাহাজ থেকে মালামাল খালাসের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মো. শাহীন রহমান বলেন, মোংলা বন্দরে জাহাজ আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চ্যানেলের নাব্য ঠিক রাখা। সম্প্রতি বন্দর চ্যানেলের আউটবারের খনন সম্পন্ন হওয়ায় সরাসরি বড় বড় জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারছে। চলমান ইনারবার ড্রেজিং সম্পন্ন হলে আরো বেশি সংখ্যক জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে।