মান্নার মিয়া, সুনামগঞ্জ : এলএসটিডি প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয়, সুনামগঞ্জের তত্ত্বাবধানে শান্তিগঞ্জ উপজেলার উজানগাঁও গ্রামে ”কৃষি প্রযুক্তি গ্রামে” চলতি বোরো ২০২৫-২৬ মৌসুমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োগমুখী পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃষি উৎপাদনে সময় ও শ্রম সাশ্রয়ের মাধ্যমে ধান উৎপাদনকে আরো লাভজনক করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সকালে (৩০/১২/২০২৫ ইং) “যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন” কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয়, সুনামগঞ্জ এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মোঃ রেজওয়ান ভূইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অত্র কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বদরুন নেছা, এলএসটিডি প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক সহকারী তৌকির আহমেদ রনি, অনিয়মিত শ্রমিম মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ, অত্র উজানিগাওের জয়কলস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ মিয়া সহ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান আবাদে আগ্রহী অসংখ্য কৃষক ও কৃষানী।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে গত ৩০/১১/২০২৫ ইং ব্রি উদ্ভাবিত বীজ বপন যন্ত্র দিয়ে ট্রেতে বীজ বপন করে চারা উৎপাদন করা হয় এবং স্থানীয়দের উপস্থিতিতে প্রায় ০৫ একর (১৫ বিঘা) জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে জমিতে ধান রোপনের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করা হয়।
উদ্বোধন পরবতী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয়, সুনামগঞ্জ এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মোঃ রেজওয়ান বর্তমান সময়ে কৃষি শ্রমিকের অপ্রুতলতায় প্লাস্টিক ট্রেতে চারা উৎপাদন ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান আবাদ পরিবর্তিত কৃষি আবহাওয়া ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
কৃষি সংশ্লিষ্টদের মতে,এ ধরনের কৃষিবান্ধব কার্যক্রম সুনামগঞ্জ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সময়, শ্রম ও উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি অধিক ফলন অর্জনে সহায়ক হবে। এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে হাওর এলাকার কৃষকেরা ধীরে ধীরে টেকসই ও আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা অভিমত প্রকাশ করেন।