সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুবিধাভোগী। গেল সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ তিনি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। তার আচার-ব্যবহার খুবই উগ্র। যোগ দিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সে সময় কিছু সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছিলেন।
মোস্তাক আহমেদ আওয়ামী আমলে ছিলেন হাসিনা ও মুজিবভক্ত ব্যক্তি। বিভিন্ন সময়ে তিনি আওয়ামী সরকারের একনিষ্ঠ হিসেবে কাজ করেছেন। দলীয় পারপার্স সার্ভ করেছেন। আওয়ামী লীগ যে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিলেন, মোস্তাক তার বড় অংশীজন। শুধু একবার ভাবেন, এই যার অবস্থান ছিল; তার দ্বারা বিরোধীদলের লোকজন কতটা নির্যাতিত হয়েছেন।
মোর্দা কথা, মোস্তাক আহমেদ ছিলেন আওয়ামী দোসর। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ তার অনেক ছবিও রয়েছে। সেই তিনি কীভাবে সাতক্ষীরার মতো একটি জেলার ডিসি হিসেবে নিয়োগ পান, এটা খতিয়ে দেখা দরকার। জানা গেছে, তিনি একটি দলের হয়ে এখনো কাজ করে চলেছেন। সর্বশেষ তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অসভ্য ভাষায় গালি দিয়েছেন। যা তিনি পারেন না।
মোস্তাক আহমেদ একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। অথচ, তিনি নিজেকে মহারাজা ভাবেন। তার এসব উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এসব কারণে আমরা শেখ হাসিনাকে ৫ আগস্ট হটাইনি। আওয়ামী লীগকে হটাইনি। তার এসব আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গেলাম। তার বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।