আইন ও বিচার

রিয়াদে দালাল আল-আমিনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে বহু প্রবাসী শ্রমিক: সিলেটের বাসিন্দা অভিযুক্ত

রিয়াদে দালাল আল-আমিনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে বহু প্রবাসী শ্রমিক: সিলেটের বাসিন্দা অভিযুক্ত
রাইসুল ইসলাম নয়ন।।সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে বসবাসরত সিলেটের বাসিন্দা আল-আমিন নামে এক ব্যক্তি প্রবাসী শ্রমিকদের বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে অভিযুক্ত। তিনি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শ্রমিকদের আকর্ষণ করেন এবং পরে তাদেরকে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আদায় করেন, কিন্তু সেই কাজ কখনোই সরবরাহ করেন না। প্রলোভন ও প্রতারণার কৌশল আল-আমিন প্রথমে শ্রমিকদের আকর্ষণীয় বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখান। তিনি বলেন, "যে কাজ চাইবে, আমি সেই কাজই দিবো," এবং ভালো কোম্পানিতে কাফালা করে দিবো এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি প্রায় ১ লক্ষ টাকা আদায় করেন। তবে, কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তাদেরকে রিয়াদে নিয়ে আসেন এবং প্রথম এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরে তিনি তাদেরকে ২০-৩০ দিন তার নিজস্ব রুমে আটকে রাখেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। ভুয়া লোকেশন ও হুমকি কাজের জন্য লোকেশন দেওয়ার সময় আল-আমিন ভুয়া ঠিকানা প্রদান করেন। শ্রমিকরা নির্ধারিত স্থানে গিয়ে কোনো কাজের সাইট বা রিসিভার খুঁজে পান না। পরে আল-আমিনকে ফোন দিলে তিনি বিভিন্ন হুমকি দেন এবং বলেন, "আমার কাছে ফেরত আসা যাবে না।" ভুক্তভোগীদের ক্ষোভ প্রতারণার শিকার শ্রমিকরা এখন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং বলছেন, "সে আমাদের টাকাটা মেরে দিয়েছে, কোনো কাজ দেয়নি, অথচ ফেরতও দেয়নি। আমরা বিপদে পড়েছি। সতর্কতা ও পরামর্শ সৌদি আরবে বা অন্য যেকোনো দেশে চাকরির জন্য টাকা দেওয়ার আগে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের বৈধতা যাচাই করা উচিত। এছাড়া, সরকারি অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমেই বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত। ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন স্থানীয় প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং প্রয়োজন হলে আইনি ব্যবস্থা নেন। (আপনার কাছেও যদি এ ধরনের কোনো অভিযোগ থাকে, তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিন।)