দেশ জুড়ে এখন করোনা আতংকে অন্ধকার। চলছে লক ডাউন।লক লাউন ঘোষনা থাকলেও মানছেনা অনেকেই।বিভিন্ন অযুহাতে মানুষ বাহিরে বের হচ্ছে।যদি সারা দেশের তুলনায় সাতক্ষীরা জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম।ইতি মধ্যে সাতক্ষীরার সর্ব প্রথম করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মী মাহামুদুর রহমান সুমন সুস্থ হয়ে গেছেন।কয়েকদিন আগে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বার ও সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত করোনা জয়ী সুমন কে তার বাড়ি গিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনন্দন জানান।এতে সাতক্ষীরার মানুষের মনোবল আরো দৃঢ় হয়েছে এবং করোনার অন্ধকার কাটতে শুরু হয়েছে।আর করোনার অন্ধকার থেকে সাতক্ষীরা জেলা কে আলোকিত করতে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)।
খোজ নিয়ে জানা যায়,সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর নিরালস প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা জেলায় করোনা ভাইরাস অন্যান্য জেলার মত বিস্তার ঘটাতে পারিনি। সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত মাত্র ৪-৫ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে কিন্তু সেগুলো নারায়ণগঞ্জ বা ঢাকায় কাজ করতে যাওয়া মানুষরা সাতক্ষীরায় এসে সনাক্ত হয়েছেন।তবে আক্রান্তদের বাড়ি সহ তাদের আসেপাশের এলাকা লক ডাউন করা হয়েছে এবং লড ডাউন করা বাড়ি গুলো পুলিশের নজরদারি তে রয়েছে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় গত সপ্তায়ে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় ও ঈদের কাপড়ের মার্কেট খুলে দেওয়া হয়।কিন্তু মানুষ কোন রকম নিয়ম নীতি না মেনে সামাজিক দুরত্ব না মেনে মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা করে সিদ্ধান্ত নেন যে সাতক্ষীরার সকল কাপড়ের দোকান বন্ধ থাকবে।নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে তবে ঔষধের দোকান খোলা থাকবে।
করোনা প্রতিরোধ কমিটিতে সংসদ সদস্য বৃন্দ, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার),সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ নজরুল ইসলাম,মেয়র,উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু সহ সকল নির্বাহী অফিসার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আসার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় প্রবেশের মুখে লক ডাউন চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়।
করোনা প্রতিরোধ কমিটির এমন সিদ্ধান্তের পর থেকে এখন থেকে হার্ড লাইনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ।
একদিকে যেমন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলার সাতটি উপজেলার নির্বাহী গণ করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে করোনা প্রতিরোধে যা যা করনীয় তাই করে যাচ্ছেন।