রণিকা বসু(মাধুরী)বাগেরহাট :কথা বলে,নাই মা থেকে নাকি কাঁনা মা ভালো৷তবু তো মা বলে ডাকা যায়৷এমনই ঘটনা ঘটেছে,বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মরা চিত্রা নদী খননের আগেই দুই পাড় ভেঙ্গে পড়ছে।এ যেন শুরুর আগে শেষের আশংঙ্খা ? খনন না করলেই যেন ভালো ছিলো তবু তো নতুন বিপদের মুখে পরতে হোত না৷ কাজের এই অনিয়ম দেখে এমনটাই মনে হোচ্ছে?চিত্রা নদীর এই ভাঙনে চিতলমারী-সুরশাইল পাঁকা সড়ক ধ্বসে পড়ছে। দেখা দিয়েছে ফাঁটল। ওই ফাঁটলের মুখে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ট্রান্সমিটারসহ বিদ্যুতের খুঁটি। কেন এই ভাঙন?তবে কি এই ভাঙনের পেছনে ঠিকাদারের লোকেদের উদসীনতা কিংবা প্রভাবশালীদের স্থাপনার কোন ভূমিকা রয়েছে? এসব বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার রূপালী বেগমসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্গাপুর হতে চিতলমারী বাজারের সাবেক সিনেমা হলের ত্রিমোহনা পর্যন্ত নদীর পাড়ে প্রভাবশালীদের স্থাপনা রয়েছে। প্রভাবশালীদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, সাবেক সরকারী চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীরা। এসব স্থাপনার জন্য স্ক্যাবেটর মেশিন দিয়ে ঠিকভাবে নদী কাটা যাচ্ছে না। যেনতেন ভাবে পানির মধ্যে দিয়ে নদী কাটা হচ্ছে। ফলে সুরশাইল কমিউনিটি কিনিকের সামনে খনন শেষ না হতেই রাস্তাসহ দুই পাড় ভেঙ্গে পড়ছে। ওই ভাঙনের মুখে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ট্রান্সমিটারসহ বিদ্যুতের খুঁটি।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট পল্লী বিুদ্যৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ কাউছার আহম্মেদ জানান, খোঁজ-খবর নিতে ঘটনাস্থলে অফিসের টিম পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মুজিবর রহমান বলেন, নদী বা খাল খননে পাকা সড়ক ভাঙা কাম্য নয়। এ ঘটনায় এক্ষুন্নি বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও চিতলমারী এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মাটির গঠন সব জায়গায় এক রকম নয়। তারপরেও ভাঙার কারণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নকশা অনুযায়ী খনন কাজ হতে হবে। এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।