ঢাকাঃ জীবনের চেয়ে দামি কিছু নেই, সড়ক দুর্ঘটনা সেই জীবনকেই হরণ করে নেয়, যার সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। আজ “World Day of Remembrance for Road Traffic Victims” দিবস। এ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষন এবং সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উদ্যোগে সন্ধ্যা ৬.০০ টায় আসাদগেটে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। এসময় উপস্থিথ ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, সহকারী পরিচালক মো: মোখলেছুর রহমান সহ স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন ইনিস্টিটিউট ও প্রকল্প প্রধান, কর্মকর্তাবৃন্দ, ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মী।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৫৫ জন ব্যক্তির প্রাণহানি হচ্ছে।২০১৯ সালে দেশের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ১ হাজার ৫৯৯টি বেশি হয়েছে। ২০১৮ সালে ৩ হাজার ১০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৩৯ জন নিহত ও ৭ হাজার ৪২৫ জন আহত হয়েছিল।২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪ হাজার ৭০২টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ জন। আহত ৬ হাজার ৯৫৩ জন। সবচেয়ে বেশি ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকায় (সূত্র:নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের প্রতিবেদন)। পথচারীরা গাড়ি চাপায়, পেছন দিক থেকে ধাক্কাসহ বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকা, রাস্তা চলাচল ও পারাপারে মোবাইল ব্যবহার, জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস, পদচারী-সেতু ব্যবহার না করা, যত্রতত্র পারাপারের ফলে পথচারীরা দুর্ঘটনায় পড়ছে। পাশাপাশি অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, অসচেতনতা, অনিয়ন্ত্রিত গতি, রাস্তা নির্মাণে ত্রুটি, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করা এগুলোও দুর্ঘটনার মূল কারণ।
মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্মকর্তাবৃন্দ হাতে প্লাকারের মাধ্যমে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য ট্রাফিক সংকেত মেনে চলা, যততত্র পার্ক না করা, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করা, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সর্তকতার সাথে গাড়ি চালানো, আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ইত্যাদি দাবী তুলে ধরেন। নিরাপদ সড়ক জনসাধরনের অধিকার আর সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।