লালমনিরহাট প্রতিনীধিঃ রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার সীমান্ত ঘেষা উপজেলা পাটগ্রাম।বিগত ১৯৯৯ ইং সনে পৌরসভা অনুমোদনের পরবর্তী নির্বাচন থেকেই পৌর মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন জনাব শমসের আলী। প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হলেয়ো তুলনামূলক উন্নয়ন হয়নি বলে সচেতনদের দাবী। বিগত দিনে অনেকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করলেও চলতি মেয়রকে রুখতে পারেনি কেউ। এবার পদে পরিবর্তন আশা করেন সকল শ্রেনীর জনতা। বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত হন বর্তমান মেয়র। অন্যদের মধ্যে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ পরিবারের পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাসী হিসেবে পৌর সভাপতি গোলাম রব্বানী প্রধান, সাধারন সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, পৌর নয় নং ওয়ার্ড সভাপতি কাদের এলাহী লাভলু, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ রাশেদুল ইসলাম সুইট, উপজেলা তরুনলীগ সভাপতি মোঃ তারেকুজ্জামান ফাইন প্রধান ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন।পৌরসভা আওয়ামীলীগ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান ও যুবলীগ সভাপতি মোঃ রাশেদুল ইসলাম সুইট জনগনের দোরগোড়ায় দোয়া ও সমর্থন চেয়েছন। চলমান রাজনীতিতে পাটগ্রাম তরুন প্রজন্মের ভোটারগন ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে পছন্দের নতুন মুখের নাম রাজনীতিক পেক্ষাপট পরিবর্তনের সুচনা করছে।পাটগ্রাম উপজেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ ত্যাগীকর্মী, তরুন নেতাগন ও আওয়ামীলীগ পরিবারের তৃণমূল সমর্থকদের পছন্দের প্রার্থী মোঃআরিফুল হক (আরিফ)। পাটগ্রাম উপজেলা তথা লালমনিরহাট জেলা রাজনীতির দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ আরিফুল হক আরিফের পক্ষে অনেকেই দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন। সাহসী নাম ও অন্যায়ের সাথে আপোষহীন সাহসী এই তরুননেতা অনেকের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। সকলের বিপদের বন্ধু হিসাবে যেমন তার তুলনা নেই, যেকোন পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্বের ভুমিকা নিয়ে সকলেই আশাবাদী। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন ও ‘সারাদিনের সংবাদ’ নামক পত্রিকার সম্পাদক/প্রকাশক। পাটগ্রামের সত্য তুলে ধরা ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনধারা ফুটিয়ে তুলতে ও সমাজের চিত্র তুলে ধরতে সাহসী কলম সৈনিকদের নিয়ে “পাটগ্রাম মডেল প্রেসক্লাব” নামে একটি সতন্ত্র সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি হিসেবে আছেন।”আদর্শ ছাত্রবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” পাটগ্রাম উপজেলার উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত। ছেলেবেলা থেকে ক্রিড়া ও সামাজিক সংগঠনপ্রেমী মুখ হিসাবে তিনি সকল শ্রেণীতে পরিচিত। রাজপথের সাহসী ও দুর্দিনে সামনের কাতারের কর্মী হিসেবে আওয়ামীলীগ পরিবারের সকল নেতারা ও সাবেক ছাত্র নেতারা তাকে স্নেহ করেন। জনসাধারণ ও ব্যবসায়ী শ্রেনী উদ্দোমী ও নীতিগত কারনে তাকে পছন্দ করেন। একঝাঁক তরুন ও শ্রমজীবী সাধারন মানুষ তাকে আওয়ামীলীগ পরিবারের নৌকার প্রতিনীধি হিসাবে দাবী করেছেন। বিগত দিনের পিছিয়ে পরা পৌরসভাকে এগিয়ে নেয়া ও অপরাধ মুক্ত স্বচ্ছ আধুনিক পৌরসভা গড়তে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। রাজনীতিক ভাবে বড় পদে আসীন না থাকলেও উপজেলা ব্যাপী রাজপথের সাহসী কর্মী হিসাবে” আরিফ” নামটি আওয়ামীলীগ পরিবারে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও রাজনীতিক নেতাকর্মীদের আলোচনায় তার কথা গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়। রাজনৈতিক বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি জানান ২০০০ ইং সালে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য ও অতঃপর ২০০২ সালে পৌর ৪ চার নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন।পরবর্তী সময়ে অনেক পদবীতে রাখার প্রস্তাব দিলেও তিনি গ্রহন করেন নি। অতঃপর অত্র এলাকার আওয়ামী যুবলীগ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তী পৌরযুবলীগ প্রার্থী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। পৌর যুবলীগ কাউন্সিল বিলম্ব হলে তিনি “বাংলাদেশ আওয়ামী তরুনলীগ” পাটগ্রাম উপজেলা শাখা অনুমোদন নিয়ে নতুন সংগঠন নিয়ে কাজ শুরু করেন। পাটগ্রাম উপজেলা ব্যাপী আওয়ামী তরুনলীগকে একটি কর্মীবহুল সংগঠন হিসাবে দাড় করতে সক্ষম হন। তারই সন্মাননা স্বরুপ ২০১৯ এ আওয়ামী তরুনলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে কেন্দ্রিয় সদস্য পদ দেয়া হয়। তিনি জানান নির্বাচন আসলে মনোনয়নের বিষয়ে সিন্ধান্ত হবে, গনতান্ত্রিক দেশ ও সংগঠনে অংশগ্রহনের অধিকার সকলের আছে।আমাদের সংগঠনের কর্মীরা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উৎসাহিত হবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি আমার উর্ধ্বতন নেতা ও রাজনীতিক সহযোদ্ধাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। সবার আকাঙ্খা ও চেষ্টা থাকবে এটা স্বাভাবিক।রাজনীতিক শিষ্টাচার ও সংগঠনের নিয়মের বাহিরে আমার সিদ্ধান্ত অবশ্যই নয়। বর্তমান সময়ে আমাদের সমবয়সীরা শুধু নয় ছোটরাও অনেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইসচেয়ারম্যান ও মেয়র পদে বিজয়ী হয়ছেন, সেটা দেশব্যাপী পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট। তরুনরা বর্তমানে এগিয়ে যাচ্ছে, সরকার শিক্ষিত ও উদিয়মান তরুন নেতৃবৃন্দকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সকলের উচিৎ কর্মক্ষম ও সচেতন নীতিবান তরুন/যুবকদের রাজনীতিতে অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেয়া। এতে আগামীর নেতৃত্ব যেমন শক্তিশালী হবে তেমনি নতুন প্রজন্মের সাথে চিন্তা ও মানসিকতা মিল রেখেই সামাজের স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব হবে। মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি জানান সময় আসুক রাজনীতির প্রেক্ষাপট ও নির্বাচনের মাঠ’ই বলে দিবে আমার অবস্থান।আমার বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা মনোনয়ন প্রত্যাসী, রাজনীতিতে চিন্তাভাবনা হাজারবার অংশগ্রহন একবার। নির্বাচন উৎসবমুখর হোক, আলোচনা সমলোচনা হোক, পৌরবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটুক এটাই মুল লক্ষ্য। এছারা নির্বাচনের বিষয়ে আর কোন কথা জানাতে তিনি রাজী নন।তরুননেতা আরিফ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে পরিবর্তন করতে পারেন পৌর নির্বাচনের প্রেক্ষাপট। পাটগ্রাম পৌরসভায় সকল প্রার্থীর নিজ এলাকায় একই দলের প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও তিনি পৌরসভার চার,পাঁচ ও সাত নং ওয়ার্ড নিয়ে বেশ সুবিধায়। এলাকাবাসী তরুন পছন্দের প্রার্থী হিসাবে তাকে এগিয়ে দিতে চায়, নিজ উদ্দোগে তারা শুক্রবার দোয়া করেছেন সব মসজিদে। নতুন প্রজন্মের সাহসী ও যোগ্যপ্রার্থী হিসাবে তার বিকল্পনেই অনেকের দাবী।তিনিই পারবেন পরিবর্তন নিশ্চিত করতে ও মানুষের অধিকার রক্ষা করে আধুনিক পৌরসভা গড়তে। দিনে দিনে এই দাবী পৌরবাসীর প্রানের দাবীতে পরিনত হবে সকল মহলের দাবী। নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে অনেকেই কাজ করবেন তাদের স্নেহধন্য প্রিয় মুখের জন্য।