পটুয়াখালী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর দশমিনা-বাউফল ও গলাচিপা উপজেলা থেকে ঢাকায় সরাসরি চেয়ারম্যান ট্রাভেলসের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে জটিলতার অবসান করতে বুধবার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বাস মালিক ও চেয়ারম্যান ট্রাভেলসের পরিবহন মালিক পক্ষের সাথে মতবিনিময় সভায় বসেন। সভায় পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ গলাচিপা পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। তবে শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষে বের হয়ে যাওয়ার পথে গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন শাহ পটুয়াখালী বাস মালিকদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি এবং গালাগাল করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাস মালিকরা। তোপের মুখে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহ ও ইকবাল মাহমুদ লিটনকে চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারা হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন শাহিন শাহ ও লিটন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘আজ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ঈদের মওসুমে পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি উপজেলা থেকে নিয়মিত ঢাকা পর্যন্ত বাস পরিচালনা করবে। আর উপজেলা পর্যন্ত যদি চেয়ারম্যান ট্রাভেলসের বাসের রুট পারমিট নিতে পারে তবে তারাও বাস পরিচালনা করবে। কিন্তু রুট পারমিট ব্যতীত কেউ বাস চলাচল করাতে পারবে না। এ ছাড়া আজ সভা শেষে বের হওয়ার পথে শাহিন শাহ বাস মালিকদের কটুক্তি করায় বাস মালিকদের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
’এ বিষয়ে জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহ-এর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে চেয়ারম্যান ট্রাভেলসের মালিক ও দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, ‘স্থানীয় মালিকদের সাথে সমন্বয় করে বাস চলাচল করার বিষয় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে মালিক সমিতির কিছু উচ্ছৃঙ্খল মালিক আমার সাথে এবং গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী বাসমালিক সমিতি আমার বাসের টিকিটসহ বাসের কাগজপত্র নিয়ে গেছে এবং আমার কাউন্টার ভাংচুর করা হয়েছে।’
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ মওসুমে মানুষের ভোগান্তি দূর করার জন্য দশমিনা এবং গলাচিপা পর্যন্ত জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি তাদের বাস সরাসরি পরিচালনা করবে।’ দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন ও গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহ লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতিকে সমাধানের জন্য বলেছি।’