বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছে মিতু (কাল্পনিক নাম), কিভাবে ওর স্বামীকে খুন করা যায়। ক্রাইম পেট্রোল, সিআইডি, আদালত দেখে কয়েকটা উপায় ঠিক করেছে কিন্তু কোনওটাই মনঃপুত হচ্ছে না, শেষে যদি ধরা পড়ে যায়। অসহ্য এই দাম্পত্য জীবন, শালার জীবনটাই শেষ! ঘৃণা ধরে গেছে সংসারের উপর। সারাদিন শুধু কাজ আর কাজ, না অাছে ঘোরাফেরা, বান্ধবীদের সাথে একটু আড্ডা হৈ হুল্লোড়! যে লোকটাকে প্রেম করে বিয়ে করেছিল, এখন তাকেই অসহ্য মনে হচ্ছে।
একদিন খুব সকালে মায়ের বাড়িতে হাজির হলো, বললো “মা, আমি আর পারছি না, ভীষণ ক্লান্ত আমি, তার কথা কাজ মোটেও মানতে পারছি না। ওকে খুন করতে চাই কিন্তু ভয় পাচ্ছি আইন তো আমাকে ছাড়বে না, তুমি কি আমাকে হেল্প করবে না?
আমি মা হয়ে কী করে একাজ করবো? মা উত্তর দিলো, ঠিক আছে তারপরও তোকে হেলপ করবো তবে তার আগে সামান্য কিছু কাজ করতে হবে।
মেয়ে জিজ্ঞেস করলো “কি কাজ? তাকে মারার জন্য আমি যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত, ঠিক আছে?
মা বললো, কদিন তার সাথে এমনভাবে মিলে মিশে থাকতে যাতে সে মারা গেলে কেউ তোকে সন্দেহ না করে।
খুব পরিপাটি ভাবে সেঁজে তার কাছে নিজেকে ইয়ং,স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করে রাখতে হবে।
ভাল করে তার যত্ন নিতে হবে এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞ হতে হবে।
তোকে ধৈর্যশীল, প্রেমময় এবং কম রাগী হতে হবে, বেশি শোনার কান থাকতে হবে, আরও শ্রদ্ধাশীল এবং বাধ্য হয়ে থাকতে হবে।
সে যদি তোমাকে ইচ্ছেমতো টাকা দিতে নাও পারে তখনও রাগ করা যাবে না।
তার বিরুদ্ধে যখন তখন আওয়াজ তুলবে না।
তাকে সংসারে শান্তি ও ভালবাসায় উৎসাহিত করবে, তাকে কখনই সন্দেহ করবে না।
এসব করতে পারবে? মা জিজ্ঞেস করলেন। হ্যাঁ, অবশ্যই পারবো. সে উত্তর দিল। ঠিক আছে, খুব গোপনে প্রতিদিন এই পাউডার একটু একটু করে তার খাবারে মিশিয়ে দেবে, আশা খুব তাড়াতড়ি কাজ হয়ে যাবে।
মাসখানেক পর হঠাৎ একদিন মিতু মায়ের কাছে ফিরে এসে বললো, মা, খুব ভুল হয়ে গেছে, ওকে আমি আর খুন করতে পারবো না, খুন করার কোনো আমার ইচ্ছা নেই। এখন আমি তাকে ভালবাসতে পেরেছি কারণ ও পুরোপুরি বদলে গেছে, সে এখন আমার কল্পনার চেয়ে খুব মিষ্টি স্বামী। কিভাবে তাকে বিষ থেকে রক্ষা করতে পারি? আমাকে সাহায্য করো, দুঃখের সুরে অনুরোধ করল।
মা উত্তর দিল; চিন্তা করিস না। সেদিন যা দিয়েছি তা বিষ ছিলনা, ওটা তাকে কখনই মেরে ফেলতে পারবে না। আসলে,সেটাই আসল বিষ যা তোর স্বামীকে ধীরে ধীরে টেনশন দিয়ে খুন করছিল। যখন তুই তাকে ভালবাসতে, সম্মান করতে আর লালন করতে শুরু করলি তখনই তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখালি….
** কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়, লেখার মতো নতুন কোনও আইডিয়া মাথায় নেই, বুদ্ধি সংকটে ভূগছি, তা-ই…পুরোন গল্প নতুন করে!
এটি কিন্তু আমার লেখা নয়, অজানা লেখককে ধন্যবাদ।