সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, এদেশের ১৮ কোটি মানুষকে অশান্তি করে ভারত যেমন বাঁচতে পারবেনা, তেমনি ভারতও একা চলতে পারবে না। ভারতকে একটি সংবেদনশীল নেতৃত্বে আসতে হবে তাহলেই ভারতের সাথে সংকটময় মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারবো।
তিনি আজ অফিসার্স ক্লাব ঢাকা মহিলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ৫-৭ ডিসেম্বর বার্ষিক আনন্দ মেলা ২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা কমিটির সভানেত্রী সেলিনা আক্তার পপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অফিসার্স ক্লাবের সম্পাদক এবিএম আব্দুস সাত্তার, ভাইস-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রাজেক , মহিলা কমিটির সম্পাদক রুবিন খালেক ও কমিটির সদস্যবৃন্দ।
উপদেষ্টা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থনীতিতে আমাদের মেয়েদের উদ্যোগ প্রশংসনীয় উল্লেখ করে বলেন, আমাদের দেশে নারী কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, এর ফলে ইকনোমিক গ্রোথ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা দেশের জন্য বড় অর্জন। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসা মাধ্যমে আমরা যেন আমাদের এই রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে পারি এবং বঞ্চিত মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বনে সংবেদনশীল সামাজিক ব্যবসা ইকোনোমিক চিন্তা ধারায় একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমরা। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ তথা দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন ৭১ আমাদের দেশ দিয়েছে, পতাকা দিয়েছে, মাটি দিয়েছে কিন্তু কাঙ্খিত দেশ দেয়নি। ৭১ এর মাথার মুকুট আমরা পদদলিত করেছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে পারিনি, কৃষকদের উন্নয়ন করতে পারিনি বলেই তার পরিণত হচ্ছে ২০২৪ ।
তিনি আরো বলেন দুর্নীতিগ্রস্ত-অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতার কারণে বাধ্য হয়ে আমাদের ছাত্র-জনতা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে বিপ্লব ঘটিয়ে এ দেশকে নতুন করে পুনর্জন্ম করেছে । অতীতে যা ঘটে গেছে ১৫ বছরের শাসনামলে যে কাজ করে গিয়েছে, নৈতিকতার দিক থেকে এদেশে গড়ার কাজে নতুন করে ভাবতে হবে , তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে সকলের প্রচেষ্টায় এদেশকে গড়ব এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
পরে তিনি বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।