আইন ও বিচার

নাজিরপুরে ছুটির পরও উড়ছে জাতীয় পতাকা! দায়িত্বহীনতায় উত্তাল দক্ষিণ দীঘিরজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

নাজিরপুরে ছুটির পরও উড়ছে জাতীয় পতাকা! দায়িত্বহীনতায় উত্তাল দক্ষিণ দীঘিরজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
অমিত হাওলাদার পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ১৩৮ নম্বর দক্ষিণ দীঘির জান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটির ঘণ্টা পড়ার পরও জাতীয় পতাকা নামানো হয়নি—এমন চিত্রে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। তালাবদ্ধ বিদ্যালয়ের ছাদে পতাকা উড়তে দেখে দিন শেষে রাত নামলেও কর্তৃপক্ষের টনক না নড়ায় স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় এক সাংবাদিক বিষয়টি জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিতোষ চন্দ্র মন্ডল দ্রুত স্থানীয়দের সহায়তায় রাত ৮টার পর পতাকাটি নামান। ঘটনার সময় বিদ্যালয়ের মোট ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ২ জন উপস্থিত ছিলেন, যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, সকাল ৯টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও ছুটির সময় তা যথাযথভাবে নামানো হয়নি। শিক্ষকরা বিদ্যালয় তালাবদ্ধ করে চলে যান। ফলে রাত ৮টা পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অন্ধকারে উড়তে থাকে, যা জাতীয় পতাকা বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লীলা রানি বেপারী জানান, "আমি ওইদিন উপজেলা সদরে মাসিক মিটিংয়ে এবং প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র আনতে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে শুনি শিক্ষকরা সময়মতো পতাকা নামাননি। বিষয়টি জানার পরপরই বিদ্যালয়ের কাছাকাছি থাকা এক শিক্ষককে দিয়ে পতাকাটি নামিয়ে নিই। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।" বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ক্লাস্টার শিক্ষা কর্মকর্তা এটিও মাসুম বিল্লাহ বলেন, "বিষয়টি শুনে আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। পরে এটি লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।" এদিকে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাঃ হেনায়ারা খানম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফজলে রাব্বির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, "ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় কোনো ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না।