সমরেশ রায়, কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) : প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের নির্দেশে, পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় কংগ্রেস কমিটি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও দীপুকে নিশংস ভাবে পুড়িয়ে মারার প্রতিবাদে, বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এবং ডেপুটেশন দিলেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, আশুতোষ চ্যাটার্জি, মানস সরকার, কৃষ্ণা দেবনাথ, তারক পাল, আইনজীবী অজিতেশ পান্ডে , সুমন রায় চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
ঠিক দুপুর দুটোয় জাতীয় কংগ্রেস কমিটি সদস্যরা বেক বাগানে জমায়েত হয়ে,যখন মিছিল শুরু করেন ঠিক কিছুটা দূরে বেক বাগানের ক্রসিং এ পুলিশ প্রশাসনের অফিসারেরা ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেন, কংগ্রেস কর্মীদের আর বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাছ পর্যন্ত যেতে দেন নি, ফলে আরো বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। চলে পুলিশের সাথে তর্কাতর্কি। ও স্লোগান, হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করো, বেশ কিছুক্ষণ বরে পুলিশ প্রশাসনকে বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করতে থাকেন,
তাহারা হাই কমিশনার এর কাছে যানতে চান কেনো একজন হিন্দু ভাইকে নির্মম ভাবে পুড়িয়ে মারা হলো, কেনো সংখ্যালঘু মানুষদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, কেনো দোষীদের শাস্তি হচ্ছে, কী দোষ করেছে আমাদের হিন্দু ভাই বোন ও মায়েরা এর জবাব দিতে হবে বাংলাদেশে সরকারকে। অবিলম্বে সরকার সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও নিধন বন্ধ করতে হবে, ভারত সরকারকেও অবিলম্বে হস্তাক্ষেপ নিতে হবে, আর যতদিন না এই নিধন ও হিন্দু ভাই ও বোন মা দের উপর অত্যাচার বন্ধ করছে, এই জাতীয় কংগ্রেস লড়াই যাবে, আজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গুলির ও উপর হামলা করা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব কিছু ভেঙে দেওয়া হচ্ছে কিসের জন্য।
কিছুক্ষণ পড়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে ও পুলিশের সহযোগিতায় পাঁচ জনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডেপুটেশন দিতে যান, এবং ডেপুটেশন দেওয়ার পর যানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি বাংলাদেশের দপ্তরে সমস্ত কিছু জানিয়ে দেবো। তাহারা বলেন জাতীয় কংগ্রেস একমাত্র দল, যাহারা সবার আগে প্রতিবাদ করে,
আমরা এর আগেও বলেছিলাম বাংলাদেশ এর সরকার বদলালেও আর যেই সরকারি আসুক যেনো কোনো রকম হিন্দু দের উপর অত্যাচার না হয় , কিন্তু সেই একি ভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, এমনকি সংবাদ মাধ্যমের উপরেরও আক্রমণ করা হচ্ছে, এটা আর আমারা মেনে নেবো না,
কংগ্রেস লড়াই করে মনুষ্যত্বকে বাঁচাতে, তাই এই সময় ইন্দিরা গান্ধীর কথা মনে পড়ছে, সরাষ্ট্রমন্ত্রক কে বলবো ইন্দিরা গান্ধীর ছবিটা সামনে রাখুন, এটাই সময়, মানুষকে বাঁচাতে হবে এখন, আর আমি হিন্দুর ছেলে হয়ে আপনাদের বলছি, পশ্চিমবঙ্গে কোনো বিভাজনের রাজনীতি করতে দেবো না, একটাও মুসলমানদের গায়ে হাত দিতে দেবো না, এবং পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরাও কোনো হিন্দুদের গায়ে হাত দেবেনা, আর যতই তলায় তলায় প্রদীপ জালুক আমরা সফল হতে দেবো না, আর প্রশাসনও যে ব্যার্থ তা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে।