মোঃ আরিফুল হক : পাটগ্রাম উপজেলার তিনদিকে ভারতীয় সীমান্ত।সীমান্তে সচারাচর ভারতীয় গরু,কাপর,কসমেটিস্ক,মসলা, চা-পাতা,ঔষধ,মাদক, মটরসাইকেল পারাপার হয়।বিবিসি বাংলা টিভি, ক্রাইম তালাশ ২৪, রংপুরের কন্ঠ,আলোকিত আমার দেশ,ইত্তেহাদ-এ, দেশটাইম,ইত্যাদি প্রত্রিকায় আমার সিরিজ নিউজের কারনে সব মালমালের ব্যবসায় ভাটা পরলেও গরুর চোরাকারবার চোখে পড়ার মত।পাটগ্রাম উপজেলা কাস্টমস অফিসে ভারতীয় আটককৃত গরু নিলাম হয় পাটগ্রাম কাস্টমস অফিসে, কাস্টমস হাউস যেন চোরাই মালামাল লুটের রাজত্ব।পাটগ্রাম কাস্টমস অফিসটি পৌরসভাস্ত ৬ নং ওয়ার্ডে হওয়ায় অফিস ও কর্মকর্তারা রাজনৈতিক কালো ছায়ায় বন্দি।এখানে দলীয় পদবী ও উপর মহলের নিয়ন্ত্রনের হাতিয়ার হিসাবে একটি নাম সবার প্রথমে উঠে আসে ফুটপাতে ব্যবসা করা এক নব্য আওয়ামীলীগ নেতা, কে এই নেতা প্রশ্ন থাকলো ? সব খোলামেলা প্রকাশ্য এই নিলামে যেন সে সর্বেসর্বা।অর্থের বৈরভে ও রাজনীতির ছত্র ছায়ায় বেপরোয়া তিনি। ফুটপাথে ব্যবসা করা নিলাম সিন্ডিকেটের মুল হোতা হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকার মালিক।নিলাম মূল্য যাই হোক তার নির্ধারিত মুল্যই যেন প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে।তার সাথে সর্বদা যুক্ত থাকে পাটগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারী,উক্ত কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিলাম সিন্ডিকেট যেন একে অপরের কাদেকাধ মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব নিজেদের পকেটে ভরতে মহব্যস্ত, নিয়ম মাফিক বাজার মূল্যের ৩০% দরে বা একটু বেশী দরে মাল খালাস দেয়া হয় নিয়মিত এই দপ্তরে।এতে কর্মকর্তাদের উপঢৌকন হিসেবে মোটা অংকের টাকা থাকে।বাকিটা সব সিন্ডিকেটের মুল গডফাদারের হিস্যা বাসায় পৌছে যায়।একচ্ছত্র অাধিপত্য থাকায় মুল হোতার সহযোগীরা কাউকে ডাকে অংশগ্রহন করতে দেয়না। তাই কোন ব্যবসায়ী লান্ছিত হবার ভয়ে দেখেও দেখেনা।গোপন সুত্রে জানা যায় প্রশাসনিক মহল সংবাদকর্মী সরকার দলীয় নেতাকে ঠিক রেখেই সে দশ বছর ধরে রাজত্ব করে চলছে,চোখের সামনে কোটি কোটি টাকা লুট হলেও কেউ মুখ খুলছে না। দায়িত্ব প্রাপ্তরা যেন জেগেই ঝিমাচ্ছে।সদ্য ৬/১০/১৯ ইং তারিখে প্রায় বাজার মূল্যে আট লাখ টাকা মূল্যের গরু নিলামের ঘোষনা হয়।নতুন কর্মকর্তার প্রথম দায়িত্বে ডাক হওয়ায় তিনি অপেন নিলাম প্রকাশ করে।অনেক ব্যবসায়ী ইচ্ছা পোষণ করে নিয়ম মাফিক দুই লক্ষ টাকা জমা প্রদান করে ১৯ জন অংশ গ্রহন করে। ডাকে অংশগ্রহণকারী সিরিয়াল নং ২ স্থানীয় ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে জানায়,নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ডাকেই ৫,৫০,০০০(পাচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) দর দেওয়ায় আমার দর লিপিবদ্ধ করেনি কর্মকর্তা।গনেশ যেন মুহুর্তের মধ্যে ঘুরে গেলো। উক্ত সিন্ডিকেটের মুল হোতার সহোযোদ্ধারা হুমকি ধামকি শুরু করে। ডাক পাখিকেই দিতে হবে।চোখের সামনেই মাত্র ২৩৮০০০(দুই লক্ষ আটত্রিশ হাজার) টাকা কাস্টমস কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়ে চলে যায়।কর্মকর্তার বদলি হলেও চিরোচেনা নিয়ম বদল হয়নি সেদিনো।সেই চিরোচেনা একই দৃশ্য।যে নিলামের সর্বনিম্ম দর ৩০০০০০(তিন লক্ষ) টাকা তা কিভাবে ২৩৮০০০ (দুই লক্ষ আটত্রিশ হাজার) টাকায় খালাশ দিলো কোন নীতিমালায় কর্মকর্তা।স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল রাজস্ব কর্মকর্তা,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,নির্বাহীকর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।অনেকেই বিগত দিনের সকল নিলামদর ও বাজারদরের হিসাব পর্যালোচনা দাবী করছে।সকল কর্মকর্তা ও মুল হোতাদের আইনের আওতায় এনে হিসাব স্বাভাবিক দর পর্যালোচনা করলে হয়তো মুক্তি পাবে উন্নয়নের অস্কিজেন রাজস্ব খাত।আইন ও নীতিমালা প্রয়োগে সরকারের হস্তক্ষেপে এই সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী সকল শ্রেনীর মদদ দাতাদের বিচার দাবী করছে সচেতন মহল