অনলাইন ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে আমরা এক ‘বদলে যাওয়া’ পুলিশ বাহিনীকে দেখেছি। অতীতের শত গ্লানি মুছে যেন ক্রান্তিকালের যোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার বাইরে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের এই সময়ে কি করছে না পুলিশের সদস্যরা ? লকডাউনের মাঝে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কার্যকর করা থেকে শুরু করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ দাফন পর্যন্ত করছে তারা।
এবার অনন্য এক মানবিক কাজ করলো কোতোয়ালী থানা পুলিশ। রঞ্জিত দাস সাগরে। তিনি ফিশিং বোটের প্রকৌশলী। ঘরে তার একা সন্তানসম্ভবা স্ত্রী। তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিপাকে পড়েন রঞ্জিত। বাসায় কেউ নেই, নিজেও বাসায় নেই, পাশেও কেউ নেই। শেষে ফোন করেন থানায়। টিম কোতোয়ালী রঞ্জিতের স্ত্রীকে বাসায় গিয়ে নিয়ে আসে। হাসপাতালে ভর্তি করে। রঞ্জিতের বাসায় কেউ না থাকায় এসব কিছুই করেছে টিম কোতোয়ালী। টিম কোতোয়ালীর সারাদিনের শ্রম সার্থক ঘোষণা ফুটফুটে শিশুর কান্না! মা ও সন্তান সুস্থ আছে।
যার সহায় নেই তার সহায় হবে। যার অভিভাবক নেই তার অভিভাবক হবে। এটাই পুলিশের মহত্ত্ব।