রণিকা বসু(মাধুরী):কথায় বলে শুনেছি মরার উপরে খারার ঘা তা আজ চোঁখে দেখলাম৷মানুষ কতটা বিবেকহীন হয়ে গেছে,৷নিজের ক্ষমতা হাচিল করার স্বাথ্যে মৃত্য লাশের প্রতিও যেন শত্রুতা৷হায়রে মানুষ আজ আছি তো কাল নেই৷সারে তিন হাত মাটি হবে শেষ সম্বল৷সেই কথাটা কি একটি বারের জন্যও আমরা চিন্তা করি৷ বাগেরহাটের মাংলায় এমন একটা রিদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে৷
ঘটনা প্রসঙ্গে:৫ কন্যা সন্তানের বাবার শেষ ইচ্ছা পুরন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে মারধর ও হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছে অসহায় এক পরিবারের ৫ বোন। মৃত বাবার লাশ ঘর থেকে বের করে দাফন জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় এ হামলার শিকার হতে হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার উত্তর চাদঁপাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের সহায়তায় লাশ দাফন করতে পারলেও ওই সন্ত্রাসীদের হুমকিতে জীবন নাশের ভয়ে নিরাপত্তা হীনতায় সময় পার করছেন পরিবারটি। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোববার দুপুরে মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
মোংলা থানা পুলিশ ও অভিযোগকারী জিবু বেগম জানায়, প্রতিবেশী শহিদুল ও ঝর্না বেগম আমাদের শরিকদের জমি ক্রয় করে বসবাস করছে। বাবা বৃদ্ধ এবং মাত্র ৫ বোন, আমাদের কোন ভাই না থাকায় প্রতিপক্ষরা আমাদের জমিটুকু দখল করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করে আসছে, এছাড়া চলাচলের পথও বন্ধ করে দেয় এসকল সন্ত্রাসীরা। নিজেদের চলাচলের জায়গা থাকা সত্বেও আমাদের বসত ঘর থেকে বের হওয়ারও কোন রাস্তা দিচ্ছেনা এ প্রভাবশালীরা। অন্যের বাড়ীর পাশ দিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় বার্ধক্য জনিত কারনে বাবা আশ্রাব আলী শেখ মারা যান। দাফনের জন্য তার মরদেহটি বের করারও কোন উপায় না পেয়ে বাবার ওসিয়াত অনুযায়ী পৈত্তিক জমির সিমানা দিয়ে বের করতে গেলে প্রতিপক্ষ শহিদুল শেখ, বাবুল শেখ, এশার শেখ, শাহিন শেখ, হাসমত শেখ, মহিদুল শেখ, বাবুল সরদার, বেল্লাল সরদার, ওয়াসিম ও এমরানসহ ১০/১৫জন সন্ত্রাসীরা মরদেহ না নেয়ার জন্য বাধা প্রদান করে।
এসময় বাবার মরদেহ দাফনের জন্য কবরস্থানে নেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ শহিদুলসহ অন্যন্যরা আমাদের বোনদের বেধরক মারধর করে এবং লাশের খাটিয়া ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় বাবার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। আক্ষেপ নিয়ে নিয়ে মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি হওয়া আহত কহিনুর বেগম জানায়, কোন ভাই নাই আমাদের, বাবার শেষ ইচ্ছা তার মরদেহটি যেন বাড়ীর পুর্ব পুরুষের রাস্তদিয়ে বের করা হয়। কিন্ত সন্ত্রাসী শহিদুলসহ তার দলবলের কারনে আজ বাবাকে শেষবারের মতো দেখতেও পারলামনা। মা হারা অসহায় পাচ বোন দীর্ঘ ৪টি বছর এদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে আমাদের। আজ বাবাকেও হারালাম। এখন সন্ত্রাসী শহিদুল ও তার দলবলের ভয়ে দিন-রাত অতিবাহিত করতে হবে আমাদের। এ ঘটনায় জিবু বেগম বাদী হয়ে ১১জন সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫জনকে আসামী করে মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করেছে।