সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের এক ইউপি মেম্বরের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দুর্ণীতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ বছরে শেখ সিদ্দিকুর রহমান কোটিপতি। সে বিষ্ণুপুর ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও শ্রীধরকাঠি গ্রামের মৃত রহমাতুল্যাহ অরফে নেফু শেখের পুত্র। ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, মেম্বর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রেশনকার্ড ও বিভিন্ন ভূয়া ভাতা’র কার্ড এর অর্থ আত্মসাৎ সহ নানান অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। ধরাকে সরাজ্ঞান করে মাত্র ৪/৫ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন ঐ সিদ্দিক মেম্বর। নামে বেনামে অর্ধকোটি টাকার সম্পদ সহ গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ী। মেম্বরের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের আনছার আলী মোড়লের পুত্র ছামসুর রহমান ও একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী মোড়লের পুত্র ইউনুস আলী লিখিত অভিযোগে বলেন-বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সিদ্দিক মেম্বর ২০১২ সাল অবধি একটি ছোট মুদি দোকান পরিচালনা করে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে দেখেছি। কি এমন আলাউদ্দীনের চেরাগ হাতে পেয়েছে যে, মাত্র ৫ বছরেই কোটিপতি? সে ৪নং ওয়ার্ডের একাধীক ব্যাক্তি যেমন রশিদ সানার নামে রেশন কার্ড, স্ত্রীর নামে শিশু কার্ড, সাইদুর মোড়লের নামে রেশন কার্ড, স্ত্রীর নামে শিশুকার্ড, নুরুলের নামে রেশন কার্ড স্ত্রীর নামে শিশু কার্ড। হারুনের নামে রেশন কার্ড স্ত্রীর নামে শিশু কার্ড, আছমত মোড়লের নামে রেশন কার্ড, স্ত্রীর নামে শিশু কার্ড এমনি ভাবে নামে বেনামে ও ভারতে অবস্থানকারীর নামে ভাতা কার্ডের অর্থ তুলে নিজেই আত্মসাৎ করে আসছে। প্রকৃত প্রাপ্যদাররা মেম্বরের দ্বারা হচ্ছে বঞ্চিত আর তার দোসররা হচ্ছে তুষ্ট। সরকারের বরাদ্ধকৃত অনেক সাহার্য্য সহযোগীতা এলাকার মানুষের হাতে পৌছায়না দুর্ণীতিবাজ ঐ মেম্বরের হাত থেকে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাঢের করা অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা কালিগঞ্জ ও কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব। দুর্ণীতি দমন কমিশনেও তথ্য প্রমানসহ অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান ইউনুস আলী মোড়ল।