নোয়াখালী সেনবাগে ১০ বখাটের লালসার শিকার হলেন ১৯ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরী! এ ঘটনায় জেলা জুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে , অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন নানা সামাজিক সংগঠনসহ সচেতন মহল। নোয়াখালীতে পর পর এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ কনেছেন সুশিল সমাজ।
বিচারের দাবীতে মামলা করেও হুমকির মুখে ধর্ষিতার পরিবার।
রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কবরস্থানে আটকে রেখে গনধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবী করেছেন জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক,ও আদর্শ ছাত্র বন্ধু ফাউন্ডেশন ।
নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ বলেন গত ৬ জুন রোজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের শেষ প্রান্তের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষনকারীরা পাশের কবরস্থানে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর হাজী বাড়ির আবু তাহের হাবিলদারের ছেলে মানিকের নেতৃত্বে একই গ্রামের ভাট বাড়ির জলিলের ছেলে ফাহিম ও তাদের আরও ৮ জন সাঙ্গপাঙ্গ মিলে গনধর্ষণ করেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন।
মেয়েটি বাড়ীতে গিয়ে বিষয়টি তার মাকে অবগত করলে ঐ ভূক্তভোগীর মা এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঘটনার চার দিন পর গত বৃহস্পতিবার ১১ জুন রাতে সেনবাগ থানায় ২০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রতিবন্ধী মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনায় ‘যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক’ ও আদর্শ ছাত্র বন্ধু ফাউন্ডেশন এর সদস্যরা এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রতিবন্ধী মেয়ের গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে নেটওয়ার্ক প্রতিনিধিবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত আপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।