নাছরুল্লাহ আল কাফী:পিরোজপুর ইন্দুরকানী উপজেলায় নানা বাড়ি বেড়াতে এসে প্রেম ব্যার্থ হয়ে মোঃ ইমন হাওলাদার (১৮) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার গাবছিয়া গ্রামে নানা ইউনুস আলী হাওলাদারের বাড়ির খাবার ঘর থেকে ইমনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ইমন পিরোজপুর জেলা সদরের নামাজপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেঝ ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমন বেশ কিছিুদিন ধরে নানা বাড়ি অবস্থান করছে। পার্শবর্তী এক মেয়েকে সে ভাল বাসত। কিন্তু নানা বাড়ির কেহ ঐ প্রেমে রাজি ছিলনা। তাই অভিমান করে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ইমন মেঝ। ইমন খুলনার একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, গলায় ফাঁস দেয়ার আগে ইমন একটা একটা সাদা কাগজে লিখে যায়। আমি মারা গেলে কেউ কোনো দায়ী না, আমি জাকে ভালোবাসি তাকে আমি পাই নাই। আমার জিবনে কোনো দাম নাই। সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইলাম।
আজ রবিবার ২১ জুন সকালে ইমনের মরদেহ পিরোজপুর সদর মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমনের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া বোন রিবি আক্তার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়।
এ বিষয় ইন্দুরকানী থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ইমন নামের যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।