হাফিজুর রহমান শিমুলঃসাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের অভিযানে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (কাবিখা) প্রকল্পের কাজ না করে পাচারের সময় ৪০ মেট্রিক টন (৬৫৫ বস্তা) সরকারি গম জব্দ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল চেকপোষ্ট ও পাটকেলঘাটার একটি গোডাউনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এসব গম জব্দ করা হয়। আটককৃত গমের মুল্য ১২ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ না করেই বরাদ্দকৃত গম পাচারের উদ্দেশ্যে কালিগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে সাতক্ষীরা অভিমুখে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্ব জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাতক্ষীরা সদরের বাঁকাল এলাকা থেকে এক ট্রাক এবং পাটকেলঘাটার একটি গোডাউন থেকে আরও এক ট্রাকসহ মোট দুই ট্রাক গম জব্দ করা হয়। আর এ সব সরকারি গম ক্রয় করেন পাটকেলঘাটার মুকুন্দ ফ্লাওয়ার এন্ড ডাউল মিলের মালিক ধুরন্ধর গোবিন্দ সাধু। এদিকে সরকারি গম পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কালিগঞ্জের তারালি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলাম, দুর্ণীতিবাজ আব্দুল খালেক ঘোরামি, লিয়াকত আলী ও আব্দুল গনিকে আটক করেছে। এছাড়া এর সাথে আরো ২জন পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে দুদুকের খুলনা সমন্বিত কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর নীল কমল পাল ও বিজন কুমার সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, নলতা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম টুটুল জানান, কালিগঞ্জ কাবিখার একটি প্রকল্পে রাস্তার কাজের জন্য ৮০মে. টন গম বরাদ্দ দেয়া হয় নলতার আব্দুল খালেক ঘোরামির একক নামে। সেই প্রকল্পের তিনি কোন কাজ না করেই বসন্তপুর সরকারী গোডাউন থেকে গম তুলে তা আতসাৎ করেছেন। পুলিশ যে গম জব্দ করেছে এটা সেই বরাদ্দকৃত গম বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো জানান, আব্দুল খালেক ঘোরামির কিছুদিন আগেও এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ঘরের চাল তৈরীর কাজ করতেন। তার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহার করে তিনি নানা প্রকার অপকর্ম করে এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।