হাফিজুর রহমান শিমুল :সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব আনারুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আ.লীগ নেতা আজমল হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টায় নলতা তারালী সড়কের মাটিকোমরা মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটে। এ সময় আনারুল ইসলামের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ততোক্ষণে হামলাকারীরা আজমল হোসেনের গলার সোনার চেইনটি ছিঁনিয়ে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী আজমল হোসেন সহ স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে ও তথ্যসূত্রে জানাগেছে, মাটিকোমরা মৌজার সাবেক ২০১ নং খতিয়ানে নলতা-তারালী সড়কের দক্ষিণ পাশে ২৯ শতক জমি। যার মালিক মাটিকোমরা গ্রামের মালেক মোড়ল ও দাউদ মোড়ল দিঃ গং। তবে উক্ত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে ( সিভিল কোর্টে) মামলা চলে আসছে। কোর্টে মামলা চলাকালে বে-আইনিভাবে ১ বছর আগে ঐ জমি থেকে ৭ শতক জমি ক্রয় করে মৃত এমান আলীর ছেলে ধুরন্ধর রেজাউল ইসলাম। যিনি এলাকার সুদখোর নজু নামে পরিচিত বলে জানা যায়। কিন্তু ৭ শতক জমির পরিবর্তে সে ৮.২ শতক জমি দখল করে আছে বলে অপরপক্ষের অভিযোগ। এ বিষয়ে শালিসি মিমাংসার নামে পরিকল্পিত ভাবে সমাজসেবক আনারুল ইসলামকে তাদের বাড়ির সামনে ডাকে। সরল মনে ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম উভয়কে কাগজপত্র দেখানোর কথা বলে। এবং নজু গংদের বলেন, যদি তোমাদের মধ্যে ১.২ শতক জমি বেশি থাকে তবে মাপজরীপান্তে অবশ্যই বাদীপক্ষকে বের করে দিতে হবে। শালিসদার ও সমাজসেবক আনারুল এমন কথা বলার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পনা ভাবে মৃত এমান আলীর ছেলে আজগর মোল্লা, রেজাউল নজু ও সাজু লাঠিসোঁটা নিয়ে আনারুলের উপর হামলা করে তাকে আহত করে। তার ভাই আ.লীগ নেতা আজমল হোসেন ঠেকাইতে গেলে তাকেও মারপীট করে এবং তার ব্যবহৃত স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নেয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে কালিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক সেলিম রেজা ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হামলাকারীরাদের লাঠি, দা, লোহার রড ইত্যাদি উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে এবং আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা করছে কালিগঞ্জ থানা প্রশাসন।