প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি–৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার কানাডা যাচ্ছেন। এ সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ কথা জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৪৪তম জি–৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার কুইবেকের লা মালবাইয়ে ৮ জুন এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।ট্রুডো গত শুক্রবার ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও অপর ১৫ বিশ্বনেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণকে ৯ জুন অনুষ্ঠেয় জি–৭ শীর্ষ সম্মেলনের বিশেষ আউটরিচ অধিবেশনে কানাডা স্বাগত জানাবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অধিবেশনে সুস্থ মহাসাগর ও সমুদ্রতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধ জীবনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।এছাড়া জি–৭ শীর্ষ সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনে যেসব বিশ্বনেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তারা হলেন– জি ২০–এর চেয়ারপারসন ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাওরিসিও ম্যাক্রি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চেয়ার অব দ্য ক্যারাবিয়ান কমিউনিটি (সিএআরআইসিওএম) ও হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসে, জ্যামাইকার প্রেসিডেন্ট এন্ডু হোলনেস, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইরো কেনেয়াত্তা, মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইনি, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ, আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকে সল, সিসিলির প্রেসিডেন্ট ড্যানি ফউরে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপসে, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নেগুয়েন উয়ান পিহুক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মহাপরিচালক ক্রিস্টিন লাগারডে, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো–অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মহাসচিব জোস এঞ্জেল গোরিয়া, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জিওরগিয়েভা।এবারের জি–৭ সম্মেলনে স্থিতিশীল উপকূল ও মানবগোষ্ঠী কীভাবে গড়ে তোলা যায়, সমুদ্রবিষয়ক জ্ঞান ও বিজ্ঞান শেয়ার এবং টেকসই সমুদ্র ও মৎস্য শিকারে সহায়তার বিষয়ে আলোচনার জন্য এই নেতারা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসগুলোর প্রধানগণ জি–৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।