মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার এএফপি’র হাতে পাওয়া এক পত্র থেকে একথা জানা যায়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।খবরে বলা হয়, গত আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটি থেকে কমপক্ষে সাত লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা পালিয়ে যায়। ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ এ সামরিক অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে অভিহিত করে।গত মে মাসের শেষের দিকে মিয়ানমার ও রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জানায় যে, দেশটির সরকার এমন অভিযোগ তদন্তের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মানবাধিকার দপ্তরের মতো জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে নিযুক্ত করতে হবে।৩১ মে পাঠানো ওই পত্রে বলা হয়, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সহযোগিতায় এ নৃশংসতার সকল অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে আরো বলা হয়, সেখানে ‘এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’মিয়ানমার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি তদন্ত মিশনকে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ইয়ংহি লি’র কাজে বাধা দিয়েছে।মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের নতুন দূত ক্রিস্টিন স্করানার বুর্জনার আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আর এটি হবে তার প্রথম মিয়ানমার সফর।উল্লেখ্য, মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান চলাকালে সেনা সদস্যদের ব্যাপক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের বৈষম্য নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণে মিয়ানমারের প্রতি আহবানও জানিয়েছে। বাসস।