সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিক কামালকে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোপর্দের দাবি করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। অন্যথায় দেশব্যাপি কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর গণমাধ্যমে পাঠানে বিবৃতিতে বলেন, এই মামলার আসামীদের কারাগারে রেখে সংসদে সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী আইন পাস করে সে আইনে বিচার করতে হবে।
নেতৃ্ৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর সেই স্তম্ভের সাথে থাকা সাংবাদিকের জন্য আলাদা আইন থাকতে হবে। নচেৎ আদালতে জামিনের জন্য এক দরজা থেকে প্রবেশ করে অন্য দরজা থেকে বেরিয়ে আসছে সাংবাদিক নির্যাতনকারীরা।
ফলে সাংবাদিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে চলছে। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভের মধ্যে কোন দপ্তরের পিয়ন-চাপরাশীকে মারধর করা হলে সরকারী কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে মামলা হয়ে থাকে। যাহা জামিন অযোগ্য। কিন্তু সাংবাদিক নির্যাতন ঘটনা স্বাভাবিক চলমান আইনের ধারায় বিচার হয়ে থাকে যা সাংবাদিকদের জন্য চরম অপমানজনক।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে ২০১৩ সাল থেকে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে। যা এখনও কার্যকর হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি কামাল হোসেন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ছবি তুলতে গেলে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালায়। এতে তার মাথায় রক্তাক্ত আঘাত এবং একটি হাত ভেঙ্গে ফেলে। এসময় হামলাকারীদের কাছে অনুনয় বিনয় করেও রক্ষা মেলেনি।
এঘটনার একটি ভিডিও গতকাল থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হলে সারাদেশের সাংবাদিকদের মাঝে নিন্দা, ক্ষোভ ও দূ:খে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তারা সরকারের নিট দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি রাখছে।