বর্তমান পর্যন্ত সেই ঢাকা থেকে আসা আমিন বাজারের ছলিম ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ভেকু দালাল মোশারফ এলাকার সাধারণ কৃষকদের ভূলভাল বুঝিয়ে এবং স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় অনায়াসে অবৈধ পুকুর খনন করে যাচ্ছেন। এপর্যন্ত হাজারো পুকুর খনন করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক। বর্তমানে আমিন বাজার থেকে আসা ভেকু দালাল ছলিম দূর্গাপুর উপজেলার গোপালপুর পদ্মবিলে বরেন্দ্রর গভীর নলকূপের পাইপ গুড়ি করে দিয়ে অবৈধ পুকুর খনন করছেন।
এদিকে উপজেলা স্যারকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছেন এমনটি বলেছেন গোপালপুর পদ্মবিলে পুকুর খননের, পুকুর মালিক শামীম। তিনি আরো বলেন, ঢাকা হাইকোর্ট থেকে ব্যারিস্টার রাজন আমাকে রিটের মাধ্যমে পুকুর খননের অনুমতি নিয়ে দিয়েছেন কিন্তু এরিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার রাজনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন, রিট তো দূরের কথা আমি দূর্গাপুরের শামীম নামের কাউকে চিনতে পারছি না।
এদিকে ঢাকা আমিন বাজার থেকে আসা ভেকু দালাল ছলিমের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। কৃষকদের জমি না দিলেও তার জমিতে রাতের আধারে জোরপূর্বক পুকুর খনন করছে বলে জানিয়েছেন আলউদ্দিন । স্থানীয় কৃষকেরা উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও প্রশাসনেরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। তারা নিরুপায় হয়ে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে ভেকু দালাল ছলিমের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি দূর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছি। আমার পুকুর খননে কখনো কোন মোবাইল কোর্ট হবে না। আপনারা যা পারেন তাই লিখেন।আমার বিরুদ্ধে কোন নিউজ ফিউজ করে লাভ হবে না।
এব্যাপারে দূর্গাপুর উপজেলা ভূমি অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শুভ দেবনাথ এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি এখন দূর্গাপুরে নেই। আগামী দুই মাস যাবত আমি ঢাকাতে ট্রেনিংয়ে থাকবো। এবিষয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেন।
অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন মৃধা’র সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, যদি আপনি মনে করেন পুকুর খননের অনুমতি দিয়েছি, তাহলে দিয়েছি ? আপনি তাদের কাছে কাগজ পত্র দেখতে চান। আমি এবছর কাউকে পুকুর খননের লিখিত ভাবে কোন অনুমতি দেয় নাই। এসমস্ত পুকুর খনন নিয়ে আমি বিরক্তের মধ্যে আছি।