আমরা যারাই একটু নগর মহানগরে মাথা উচু করার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকি তারাই যেন ভুলে যাই মানিকগঞ্জকে, ভুলে যেতে চাই জন্মস্থানকে। যে মাটি আর মানুষের মাঝে শৈশব কৈশর কাটিয়েছি, ভিত্তি গড়েছি নিজের; সে স্মৃতিময় অতীতকে মনে প্রাণে ধারণ করা থেকেও বিরত থাকি। কিন্তু বয়স যতই বাড়ে ততই টান বোধ করি নাড়িপোতা গ্রামের, সোনালী শৈশবের। নিজ জেলা মানিকগঞ্জের প্রতি সুপ্ত ভালবাসা, টানবোধকে হঠাৎ যেন জাগ্রত করে দিলো ফেসবুকের গ্রুপ মানিকগঞ্জ (মানিকগঞ্জ-Manikganj)। গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা তারুণ্যদীপ্ত S M Saidur Islam. জন্মভূমি জেলার প্রতি এই তরুণের ভালবাসা, এ জেলার মানুষের প্রতি তার ভালবাসা, দায়িত্ববোধ, আকাংখা নতুন করে মানিকগঞ্জকে ভাবনায় এনে দিয়েছে। মানিকগঞ্জকে নিয়ে ভাবনার বিস্তৃতি ঘটাতে তার এ গ্রুপকে উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। তাইতো, মানিকগঞ্জ শুধু জন্ম নেয়া মানুষের হবে কেন? যারা চাকরি সূত্রে, আত্মীয়তার বন্ধনে, আসা যাওয়ার ফাঁকে মানিকগঞ্জকে ভালবেসে ফেলেছেন, যাদের হৃদয়ের এককোণে এ জেলা ও জেলাবাসীর প্রতি মমত্ববোধের ঠাঁই দিয়েছেন-তাদের সবার প্রতি আমাদের অকৃত্তিম ভালবাসা, গভীর কৃতজ্ঞতা থাকাটাই সাভাবিক। ঢাকার অধিবাসী মানবাধিকার নেত্রী সেহ্লী পারভীন যখন মানিকগঞ্জের প্রতি ভালবাসার নিদর্শণ হিসেবে খুঁজে বের করে জানা দেন,“মানিকগঞ্জের প্রায় ৯৫% ভাগ মানুষ শিক্ষিত এবং সেখানে বহু শিক্ষানুরাগীর জন্ম।” তখন তার প্রতিও আন্তরিকতা দেখাতে শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের কেন কার্পণ্য থাকবে?
আমার শুভাকাঙ্খী, বন্ধুজন, সহপাঠী, পেশাজীবী সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি=আমাদের মানিকগঞ্জ-Manikganj গ্রুপকে সমর্থন দিন, মানিকগঞ্জকে ঘিরে থাকা স্মৃতিময় দিনগুলোর কথাও শেয়ার করুন; আমাদের ভালবাসা ঘিরে থাকুক আপনাকেও…..
লেখকঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদুর রহমান রিমন।