মানববন্ধন থেকে ব্যবসায়ী পিন্টু, সিদ্দিক, জাহিদ, সিরাজুল ইসলাম, রুবেল, শরীফুল, কাশেম, কাজল, বাক্কার, রকি, আফজাল, নয়ন ও সবুজসহ আরো অনেকে বলেন, নিমতলা (ঘোষ মহালপাড়া) মৃত জাব্বার আলীর তিন ছেলে লিটন (৩০), রতন (২৭) ও ছোটন (২৫)সহ আরো কয়েকজন মিলে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ও বিদেশী পিস্তল নিয়ে এসে দোকানদের নিকট চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ফল ব্যবসায়ী তাইজুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে। এসময়ে তাকে মাথায় এবং হাতে ধারালো অস্ত্র দেিয় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাইজুল বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাদীন আছেন। তার অবস্থা ভালনয় বলে জানান তারা।
তারা আরো বলেন, তাইজুলকে মারা দেখে অন্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে গেলে নিমতলা মোড়ের ইট বালি ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন, বার্গার ব্যবসায়ী নাইম ইসলামসহ আরো কয়েকজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে সন্ত্রাসীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায়ই এই সন্ত্রাসী দল এখান থেকে চাঁদা আদায় করে। বাধা দিলে ব্যবসায়ীদের মারপিট করে বলে জানান তারা। একদিকে লকডাউনে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য নাই। অন্যদিকে চাঁদাবাজদের দৌরাত্বে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।
ব্যবসায়ী সিদ্দিকসহ আরো অনেকে বলেন, শুধু মারপিট করে আহত নয়, তাইজুলের নিকট হতে ৫০,০০০/- টাকা, সাদ্দাম হোসেন নিকট হতে ২,০০০০০/- টাকা এবং নাইম ইসলামের নিকট হতে ১৩,০০০/- টাকা জোর করে নিয়ে নেয় বলে তারা দাবী করেন।
এদিকে রাজপাড়া থানা টহলদল মানববন্ধনকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময়ে এএসআই মামুন বাবসায়ীদের দোকান খুলে ব্যবসা করার কথা বলেন। সেইসাথে এখানে কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি। এছাড়াও এই সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে তাৎক্ষনিক একটি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেন এবং এখানকার সার্বিক বিষয়ে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে ব্যবসায়ীদের আশস্ত করেন মামুন।
এদিকে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু মারামারীর বিষয়ে কোন পক্ষই এখনো মামলা করেননি। মামলা করলে আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।