লিয়াকত হোসেন রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা সরকার নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনির ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বাড়িগ্রাম-দৌলতপুর মোড়ে আব্দুস সামাদ নামের ব্যক্তির ওই ইটভাটায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এসময় ইটভাটা মালিক পালিয়ে যায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাগমারার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ওই সমস্ত ইটভাটা। কিছু কিছু ইটভাটায় বছরে দু একবার অভিযান চালানো হলেও পরবর্তীতে আবারও ওই ভাটাগুলোতে কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। উপজেলা জুড়ে ১৭/১৮টা সরকার নিষিদ্ধ অবৈধ ড্রাম চিমনির ইটভাটা রয়েছে।এছাড়াও গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা আরঙ্গবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইটভাটায় দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কখনো কখনো সরকারি রাস্তার গাছ রাতের আঁধারে কেটে রেখে তা পুড়ানো হয় বলেও জানা যায়।
বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা অবৈধ ইটভাটা গুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়না বলেও ইটভাটার আশেপাশে বসবাসকারীরা অভিযোগ করেন। ২০১৩ সালে ড্রাম চিমনি ও কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন প্রনয়ন হলেও মাঠ পর্যায়ে তার কোন প্রতিফলন লক্ষ করা যায়না। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। কিছু ইটভাটা মালিক প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে লেখালেখি হলে দুএকজন ইটভাটা মালিক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক চাঁদাবাজির মামলা ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। সম্প্রতি রামরামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার ধারে গড়ে উঠা অবৈধ ইট ভাটা মালিক ফজলুর রহমান সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক লাখো কন্ঠ ও অগ্রযাত্রা পত্রিকার সহ সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান জীবন কে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বিগোপাড়া
ড্রাম চিমনির ইটভাটা মালিক আবুল কালাম আজাদ বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি বিরুদ্ধে মিথা চাঁদাবাজির মামলা করেন।
এ নিয়ে সাংবাদিককের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টির হয়েছে।
বিভিন্ন গনমাধ্যমে নিয়মবহির্ভূত ভাবে গড়ে উঠা ওই সমস্ত ইটভাটার সংবাদ প্রকাশ হবার পর মঙ্গলবার (১৬নভেম্বর) থেকে শুরু হয় প্রশাসনের অভিযান। এসময় গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বাড়িগ্রাম-দৌলতপুর মোড়ে আব্দুস সামাদ নামের ব্যক্তির ওই ইটভাটায় অভিযান চালায় এনডিসি আবদুল্লাহ আল রিফাত। এসময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ইটভাটা মালিক আব্দুস সামাদ পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান বলেন, উপজেলায় যে সমস্ত অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদসহ ওই সকল ড্রাম চিমনির ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।