মোঃ শামীম আহমেদ জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।
মুমূর্ষু অটো ড্রাইভার কে রক্ত দিলেন দুমকি থানার এস আই সাকাওয়াত।
গত ইং১১/২/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ৮.১৫ মিঃ সময় দুমকি থানার কার্ত্তিকপাশা এলাকা হইতে জালাল উদ্দীন এর নিকট হইতে একটা মিশুক গাড়ি ছিনতাই হয়।৷ ছিনতাইকারীরা জালাল উদ্দীন কে পায়ে একটি কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করে। তাৎক্ষণিক তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাহাকে কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা না দিয়ে শেবাচিম প্রেরন করেন। গতকাল হইতে আজ ১২/২/২০২২ পর্যন্ত জালাল উদ্দীন শেবাচিম ভর্তি থাকলেও আজ দুপুর পর্যন্ত তাহার পায়ের কাটা স্থানে সেলাই টুকু জোটেনি।
আজ এস আই সাকাওয়াত জালাল উদ্দীন কে দেখতে যায়।গিয়ে দেখে তাহার ৮ সন্তান ৪ ছেলে ৪ মেয়ে, একটি মাত্র মেয়ে শুধু বসে বসে কাদছিল আর কোন সন্তান তাকে দেখতে পর্যন্ত আসে নাই। তাহার এ অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাটাস্থানে সেলাই ও ব্যান্ডেজ এর ব্যাবস্থা করে।( যদিও অনেক কিছু কিনে দিতে হয়)। যাই হোক এরপর ওটি থেকে বের করার পর কমর্চারীদের আরেক রুপ দেখলাম। ওটি থেকে বের করার পর তাকে সামনে ফ্লোরে শোয়াইয়া দিল।তাতে কোন দুঃখ নাই, কিন্তু তাকে যেভাবে টলি থেকে নামালো তাতে ভয়টা পেল। কারন গরীব অসহায় বলে কোন রকমে ধরার কারনে জালাল উদ্দীনের মাথা বিকট শব্দে ফ্লোরে পরে সে অজ্ঞান হয়ে যায়, অনেক সময় পর তার জ্ঞান ফিরে। তাকে বেডে নিয়ে আসা হল। এখন জানতে পারি জালাল উদ্দীন কে জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দিতে হবে। কোন লোক এগিয়ে আসলো না। সিদ্ধান্ত নিল নিজেই রক্ত দিবে, সব প্রস্তুতি নেয়া হল।
ডাক্তার জানালো তার উচ্চরক্তচাপ থাকায় রক্ত দিতে পারবেনা। সাথে সাথে তার সহকর্মী এস আই সাকাওয়াত সুযোগ টি হাতছাড়া করলেন না। সে সুযোগ টি লুফে নিল, নিজের রক্ত দিয়ে সেবার চেষ্টা করলেন।যাই হোক সবকিছু শেষ করে তাহার জন্য কিছু আর্থিক ব্যাবস্থা করে নিজ পথে রওয়ানা হইলেন। ভালো থাকবেন ভাই, যারা আপনার মতো মানুষ কে আঘাত করে শেষ সম্বল টুকু নিয়ে গেল আমি চেষ্টা করবো তাদের আইনের আওতায় আনতে।