ফরিদুল কবীর,কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি।। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ আ’লীগের রাজনীতি করছি। একসময় অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এখন ঠিকমত শ্রম দিতে পারি না। আর্থিক সংকটের কারণে বসবাসের ভাঙ্গা ঘরটিও মেরামত করতে পারছিনা। সামান্য বৃষ্টি হলে খড়ের ঘরে পানি পড়ছে, তখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। তাই সরকারী ঘর পেতে আবেদন করেছি। উপজেলা থেকে জায়গা জমি দেখে গেছে তারপরও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলাম না। সামনে বর্ষার মৌসুমে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায়, কিভাবে থাকবো সেটাও জানিনা? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট সরকারী ঘর পেতে চাই। এভাবেই কান্না জড়িত কণ্ঠে নিজের অসহায়ত্বের কথাগুলো সাংবাদিকদের কাছে বলছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য শেখ আব্দুল আজিজ। তখন তার দু-চোখ বেয়ে অঝরে পানি ঝরছিল। সে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের মৃত শেখ আতিয়ার রহমানের ছেলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল আজিজ পরিবার পরিজন নিয়ে জরাজীর্ণ কাঁচা ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে খড়ের চালে উপর পলিথিন টানিয়েছেন। অন্ধাকারাচ্ছন্ন ঝুপড়ি ঘরে দিনে সূর্যের আলো আর রাতে আকাশের চাঁদ-তারা উঁকি দিচ্ছে। তারপরও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার পরম প্রতিচ্ছবি হিসাবে শয়নের খাটের সামনে নৌকার নকশা তৈরী করে রেখেছে তিনি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, আব্দুল আজিজ একজন দিনমজুর। তার ছেলে শাকিল আহম্মেদ (২০) এইচ,এস,সি প্রথম বর্ষ ও মেয়ে আকলিমা খাতুন (১৩) স্থানীয় মহিলা মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। তার ৩ শতকের মত জায়গা থাকলেও ঘর তৈরী করে থাকার মতো সক্ষমতা নেই। সে একদিন দিনমুজুরের কাজ না করলে তাদের চুলায় হাঁড়ি উঠে না। জরাজীর্ণ ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে ভীষন কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে আ’লীগের এই কর্মী। আব্দুল আজিজের স্ত্রী ছোকিনা খাতুন বলেন, অভাবের সংসারে স্বামী একমাত্র উপার্জনকারী ব্যাক্তি। দিনে যা আয় করে তাই দিয়ে দু‘বেলা নুন ভাত খাই। বৃষ্টি হলে ঘরে পানি পড়ে। সরকার যদি আমাদের একটি ঘর দিতো তাহলে শান্তিতে থাকতে পারতাম। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শেখ মোকলেছুর রহমান মুকুল বলেন, আব্দুল আজিজ আ’লীগ পরিবারের সন্তান। তার জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই। সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়ার যোগ্য। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জমি আছে, ঘর নাই এ প্রকল্পের ঘর আপাতত বরাদ্ধ নেই। নতুন বরাদ্ধ আসলে সে যাহাতে একটা ঘর পেতে পারে তাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।