ঝালকাঠি ২৬ মার্চ ২০১৯: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল সাংবাদিককে উজ্জীবিত হওয়া উচিত। তিনি ২৬ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টায় স্বাধীণতা দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পূস্পার্ঘ অর্পণ শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথাগুলো বলেছেন। তিনি আরো বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আগে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা দিতে হবে। কন্ঠরোধ করে কোন কিছুই সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। সাংবাদিক পেশার মানোন্নয়নে সরকারকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। রাজধানীতে থাকা মুষ্টিমেয় সাংবাদিককে ঘিরে চিন্তা করলে হবেনা। খোদ রাজধানীর বাইরে মফস্বলে কয়েক হাজার সাংবাদিককে নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একজন সাংবাদিক ছিলেন। তাইতো তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ১৯৭৪ সালে সাংবাদিকদের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই প্রেস কাউন্সিল আজ কিছু লোকের কথার ফুলঝুড়িতেই সীমাবদ্ধ রয়েগেছে। বাস্তবে সাংবাদিকদের কাজে আসছেনা। সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করা। সেই প্রকল্পটি গত ২ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। অবিলম্বে প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর ও গতিশীল করে সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করে আইডি নম্বর প্রদান করা হোক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমএসএফ ঝালকাঠি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এইচএম গিয়াস উদ্দিন, ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু লাল দাস, ডা: জহিরুল ইসলাম বাদল, রুবেল হোসেন, মো: সাদেক হোসেন, আরিফ হোসেন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ সরকারের নিকট জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের ১-৭ মে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিরও দাবি তোলেন।