মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু বিশেষ প্রতিনিধি :
বন্দরনগরী ভৈরবে তালাবন্ধ ঘরে অন্তসত্তা সাহারা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছে। নিহত সাহারা বেগম পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকার লাল মিয়ার মেয়ে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১ টার দিকে পৌর শহরের কালীপুর মধ্যপাড়ার সামাদ মিয়ার বাড়ির একটি টিনসেট ঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এক বছর আগে ভৈরবের পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা সাহারা বেগম একই এলাকার রিকসা চালক উজ্জ্বল মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই কালীপুর মধ্যপাড়ার সামাদ মিয়ার বাড়িতে একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে দুজনে থাকতেন। এর মধ্য গৃহবধূ সাহারা বেগম সাত মাসের অন্তসত্তা ছিলেন। সোমবার দুুপুরের দিকে দীর্ঘসময় ঘর থালাবন্ধ দেখে পাশ্ববর্তী লোকজন দরজা ফাঁক করে দেখে ঘরের ভিতরে চালের বাঁশের মধ্য দড়িতে ঝুলছে সাহারার মরদেহ। এইপরই পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতাল রির্পোট তৈরি করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের ছোট বোন সীমা জানান, আমার বড় বোন পরিবারের মতের বিরুদ্ধে রিকসা চালক উজ্জ্বলকে বিয়ে করে আলাদা বাসায় থাকতেন। সেজন্যই তাদের সাথে আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ ছিলো না। সকালে বোনের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসছি। আমার বোন সাত মাসের গর্ববর্তী ছিলেন। কি কারণে মারা গেলো তা জানি না। তবে তার পাশ্ববর্তী বাসিন্দাদের কাছে শুনেছি আমার বোনকে প্রায় তার স্বামী মারধোর করতো। আমার বোনের মুখে মারধোরে চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই আব্দুর রহমান বলেন, খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। মরদেহের শরীরের তেমন কোন আঘাত নেই। তবে তার মুখমন্ডলে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গৃহবধুর যেহেতু গর্ববর্তী সেহেতু তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হবে তিনি জানান।